ধ্বংসিয়া
আগুন কি কঠিন নিশ্চুপ
শুধু ভালবাসার স্তুপ
ভাস্মসাৎ!
আকাশ হয়তো জল বা পাথরে
জমাখরচ ব্যথার ভিতরে
জলপ্রপাত
করোটি জুড়ে ঘুণ ধরেছে
সুস্থ সবুজ খুন করেছে
ময়ূরপুচ্ছ
তারার আলো কার জন্যে?
কিসের তরে রাজকণ্যে
প্রহর গুনছ?
জলছবিরাও নীলচে হাতে
ভিক্টোরিয়ার পরীর সাথে
ব্যথা কুড়োয়
কয়েকটা তার রংবাহারি
ইচ্ছে হল সং সাজার-ই
রাধাচূড়োয়
ভুল ঠাকুরের পায়ের কাছে
পুজোর থালা লুকিয়ে আছে
শাঁপলাপুকুর
শাশ্বত সুখ বেবাক বেহাত
দুখ-দুয়ারে ফিরছি নেহাৎ
হ্যাংলা কুকুর
বন্যা কিংবা জ্যোৎস্না তো নয়
দু’এক ফোঁটা অলীক প্রনয়
রেখে যাস
তুলতে চাইলে তুলতে পারো
পাথর ঠ্যালা দুঃখ আরো
সিসিফাস
বিস্তারিত কথায় কথায়
তিস্তা নদীর ব্যস্ত ব্যথায়
রাতচড়া
অগোছালো সেই দীপাবলির
আলো জ্বালো ফের কথা বলি
মনগড়া
আকাশ পাতাল মাতাল মাদল
উথাল পাথাল বেতাল বাদল
ছন্দ তো নয়!
মৃৎভাণ্ড বহির্মূখী
হৃৎপিণ্ড তাতেই সুখী
স্পন্দনময়
আদ্যিকালের স্পর্ধাগুলো
ঢাকতে নূতন পর্দা এলো
আদেখলা সুখ
ক্ষেতের ভিতর গহীন ফাটল
বৃষ্টি-চাবুক রঙীন কাজল
সে মেঘলা বুক
বিকেল হঠাৎ কি ধন্য হয়
কাঁপতে থাকা বিষন্নতায়
নাচতে হলে
ঝাউপাতাদের নিবিড় ডাকে
আয়নাগুলো লুকিয়ে থেকে
বাঁচতে বলে
দৃষ্টিছেঁড়া সৃষ্টিক্ষত
আভূমিতল শ্রদ্ধানত
মাধুকরী
উলঙ্গতার ভ্রু-ভঙ্গীতে
শিকড়-শিকার কি সঙ্গীতে
সোনাঝুড়ি?
ক্ষতচিহ্ন কাঁপিয়ে দিয়ে বজ্ররেখা
কত ভিন্ন হলেই তবে সঙ্গে থাকা
মন্বন্তর!
কান্নাবহুল এক্কাগাড়ি লতায়-পাতায়
পাথর জুড়ে ফুল ফুটেছে হেথায়-হোথায়
ফুসমন্তর!
দুই মুঠো ছাই সঙ্গে আনা
সকালবেলাই রঙীন ডানা
প্রজাপতি
ঝোড়োচিঠির এই নিয়ত
আত্মশ্লাঘার কৈফিয়তও
সোজা অতি
হিসেবকসা নিয়ম মানার
দোয়েলপাখি দোয়েলছানার
মাংস ছিঁড়ছে
ঢেউয়ের টানে প্রবল কাতর
পাঁজরখেকো আগুন পাথর
ধ্বংস করছে
ধ্বংস করছে
ধ্বংস ধ্বংস ধ্বংস করছে
হংসশাবক ধ্বংস করছে
হিংস পাবক ধ্বংস করছে
ধ্বংস করছে
ধ্বংস, ধ্বংস করছে
No comments:
Post a Comment