Wednesday, July 31, 2013

ঐ জঙধরা বঁটি দিয়ে তরকারি কেটোনাকো বৌঠান

তোমার ভালোবাসার প্রতিবিম্বে ঘন
তোমার ভালোবাসার প্রতিবিম্বে বগগা বগগা ঘনমান
এ জীবন কবিতার পাতাবাহার
এ জীবন লবঙ্গক্ষেতে ঝাঁপিয়ে পড়ো ভালোবাসা
থাক থাক মাংসর থরোথরো পাট
কষা মাংস ঠাউর হলে বোলো হাম্বারব
বেলা যায়
ধেনুপুচ্ছ হের মুচ্ছে মুচ্ছে জাহ্নবী
ভালোবাসার মত লুৎফুন্নিসা বসে আছে মগডালে
ভালোবাসার মত আঁচিল ফুটছে দয়ানাম
যাবো না যাবো না চলো মন নারকেলডাঙা
 
...
 
তুমি বীক্ষ্যয় কোছলে যাও বেগুনি নেকলাইন পরে
মাথার উপরে ঘর, চলে রেলরেল রেল
ঝাঁকে ঝাঁক স্ট্রেটলাইন, প্যারামানবিক
লাইটার জ্বলে না
লাইটার জ্বলে যায়
লাইটার জ্বলে নাকো; উজ্জ্বল ও শুচিস্মিতা:
প্রগলভ, তাই ম্যাক্সি পরে নিল শুচিস্মিতা
আমাদের বাতায়নে ফিরে যাও ঘাস
আমাদের পিকনিকে তরুমজ ভাজা
নিমপাতা ঝরেনাকো তুলতুল বুকে
নিমপাতা ঝরেনাকো দুর্বাসা-কার্নিভাল
ফ্রাইডের সমোহন গুডনাইট ল্যব্বাইট
কান্নাগুলো কেন্নো হোয়ে যায়
এসো তাড়াতাড়ি ভালোবাসা যাই।
 
...

জটিল ফোঁসফাঁস ছেড়ে নিভাননা
নিভাননা চুপিচুপি নারিকেল সারিতে
নিভাননা চাঁদ নিভে হ্যারিকেন বিন্দু
চলচুপি কলদল ব্রোহুম ব্রোহুম ইস্কাপন-আস্তরণ ব্রহ্মাণ্ডে
সঙ্গে যাবি আয় রে সবে চল
নিভাননা পরে নি কো বল্কল
সেইতান মেঘেদের মোহোসীন-জম্বুদ্বীপ জম্বুদ্বীপ
ফেরিওলা কান্দি চলে মাসীমার তরে
ক্রমে তাও ঝিলমিল
ক্রমে শতদল।
 
...
  
হৃদয়ের মরুণ অস্তরাগ
ঊর্বরা ধলোমল মাগ
সুকোমল শতদলে হোছে ঝিলমিল
ফিরিওলা নাহারেণু দর্দ্-এ-দিল
কুপন সেঁধিয়ে ছিলো কৌপিন তরে
কুপনেরা শিবি হৈ’ ফুটে সরোবরে
কৃপণ লুকায়ে চলে কৃপাণের ধার
গুরু গুরু ব্যোম ব্যোম পিস্তল কার?
রে দুর্ভাহা!
রে দুর্ভাগা!
হাত ক্যানো পকেটের চাঁদে
ছড়িয়ে বিসমিল চৌহুদ্দি
মুদে রহো তন্দ্রালু পুষ্পের তরে
 
নিভাননা চাঁদ চিপে নিভে গ্যাছে বিস্তর
নিভাননা প্যাকেটেতে আছে ম্রিয়মাণ
খেয়ে নাও নিভাননা বিস্কুট ভালো
নিভাননা কারুমাটি নিস্তাপ আলো।
সুড়সুড়ি হয়ে আমি সারারাত শুয়ে থাকবো তোমার পাড়ে, রমণীয়।
...
 
আমোদের আমগাড়ি ব্যারিকেডবন্দী
নাচি নাচি হুমহাম পয়োধরপন্থী
বঁটি হাতে এসো নাকো বৌঠান বোলছি
বোঁটা ক্রমে পুষ্পিলে ধরাধামে হাড়হিম
ভালোবাস চেপেচুপে মৃগনাভী চোলছি
মৃগমাণা মৃগি হলে মার্গশির্ষ গালে
বোল ধোরেছে টোল পোড়েছে সিন্ধুবাদের ভালে
তাহাতে কদলী দলী পিপীলিকা ক্রন্দে
অঙ্গরাগ ভূষিত হৈবে প্রীত-চন্দন গন্ধে
কোমলাঙ্গ রঙ্গনাঙ রঙ্গনাম লহ
রঙ্গনামে গঙ্গারাম সঙ্গোপনে চলো
মহাভাবে উদ্বেলিত মহাভাণ্ড তরঙ্গ
খুলি হইতে খলিও রোষে চাবড়াছাঁচা করঙ্গ
ভালোবেসে ভালোবাসার ডালিমকুশুম ডোলছি
ভালোবেসে ভবসুন্দর প্রিয়সুন্দর চোলছি।
 
 
...
 
অথচ আজ লেটুস-গ্রীবা তনুরঙ্গিন ধনু
মরীচিকার মজায় মজে লিপিকুন্তল হোনু 
জানো নি সমতলে সমস্বর শামা-মেদুর
বেঁধো আঙ্গুল খাও গলা খাও করপুট
খাও হাড়ে হাভাত
পাঁজরে শৈবালদাম
এরকম দেখিনি কি ঠোঁট থেকে লাফ বুঁজে যায়
হায়নার হাহাকার কাঁপে আয়নায়।
আমি আলো তুলে কালার-কামান মূল
বৃষ্টি কেবল সেতুধুত্তোর ইরাবতীর ঐরাবত
টুনটুনি ভুলে যায় কাজলের কালো
ভুঁই ফুঁড়ে ভুয়োসাপ খরবারি ঢালো
ফ্যাশানের কিংখাবে রকমারী দানাদার
তাই দেখে হুমো মারে হাড়গিলে হানাদার
এরকম ছবিও তো শিঙব্যাঁকা বোঙ্কু
মোষেদের ঘষাঘষি ললনার ললাটে
লালটিপ মোমমেম রটনার স্বরাটে
আত্মে কেবোল অন্তরস্থ তোমার আমার সমীক্ষা
আজ সুজনের জন্মদিন, পরিক্ষিতের পরীক্ষা।
...

Monday, July 22, 2013

মায়াতরণী

 

না করি' হৃষ্টি ও তুষ্টির মান
জাগো প্রকাণ্ড মধুসূদন
নিহারীকা,
কান্দে জল্পাই বানানী
মাঠে-গোঠে ইডিপাল রামধেনু, শটিঝাড় -
জোছনীল পচনের আয়ত নৈকট্য -
কংক্রীট অভিধায় শিকার ও বিজয়োৎসব

 

 

...

 

শেষ প্যাগানিনি নামল যখন, ফের ভীষণ কালো
প্যাগানিনি, অলীক মুদ্রাকর,
সাবধান! সাবধান!
লালচাঁদ মিশে যায় দয়ানামে,   
সাবধান! ক্রোধী শাহজাদা অশ্বারূড় এইপানে ধায়!
সাবধান! ওরা তোমার দাঁড়ি ছিঁড়ে ফেলেছে,
উটের কঙ্কাল খুঁড়ে তুলে এনেছে গোরস্থানের পাশে,
যেথায় নীলকান্তপুর ছাড়িয়ে মেইন লাইন, তিন কিলোমিটার,
ফের ভ্যান রিকশায় পনেরো মিনিট বা হেঁটে সাড়ে উনিশ মিনিট
তথায় তেপান্তর
হৃদহাভাতের ঘর

 

হুঁশিয়ার, প্যাগানিনি!
হুঁশিয়ার, কলতাপী ক্রোমোসোম-ক্রুশ,
লীন হতে হতে চিৎকার ভেদ করে
কাছাকাছি অতীতের যে সকল প্রেত
তারা ক্রমে নিষ্প্রভ
গ্লাসডোর, মসৃণ,
জুনিপার আলোকিত প্রচ্ছন্ন কাছে।

 
I am ready to kill myself for this
I am ready to live for this.

...

 

লাইন লাইন চলে
লাইন লাইন, লোটাস-মৃগনাভী

 
Have you ever really been this close before? Can you go beyond that point?

A – Red

O – Rose

P – Pink

N – Skull

R – Rain


He remembers banana trees in mad moonlight sweeping past across endless dark spaces,
Dark enough for tugged heart of mind to swell up in fond folds
But not enough for death.
He remembers being happy and sad enough at that perfect moment
Since then everything had been all about fleeing.

 
আমরা তো র’য়ে যাবো ক্লীব আংরাখা
অহো ঝমঝমা, তম্বুরা-বাদক -
অম্ল কৃষ্ণপক্ষে,
মেদুর ও শৌচক্রোম্যাটিক

 
আমাদের ডিক্টাম-পৃষ্ঠা উড্ডী-উড্ডী কচ্ছপের চ্যাপ্টা বা ডিম্বাকার পৃথিবীর গর্ভে সেঁধিয়ে
ঠ্যালাঠেলি জমিতেছে, অন্ধ-অগ্রসেন
কুঁয়োর কষটা নিগুঢ়ে
ওই দ্যাখো ওড়ে মাস্তুল
ওড়ে প্রত্নাতীত হাড়গিলে।

 
সদাগর চলে সুখময়;
চুপিচুপি আলগা চ্ছ্বটার মতোন
শম্বুকের স্পর্ধানম্র প্রণতি,
নূতন আলোক প্রশস্তি।

 


 

 

এভাবেই এনে দিও ঢেউ-তুলসী-তিল
বাজিমাত কারখানা কম্পাউণ্ড জুড়ে উৎসব
হিম-হ্যালোজেন বনস্পতি পুরাতন শিকড়-বাকড়ে
ভাবো পর্যটন, ভাবো ম্যাহগনী প্যাঁচ-সুতো
জড়িয়ে জড়িয়ে পিঠে, বুকে
থলথলে সর্বস্ব বিরাম করে নাও
ম্রিয়মাণ হয়োনাকো অনুস্বর নদীটির পাশে,
পৃথিবীর অগুনন বুনটের কাছে
চাবড়া-পলেস্তারা-জরাসন্ধ-রা:
চার ভাষা – সকাল, বিকেল, সন্ধ্যে, রাত।
তিন-মুখ – বোধিসত্ত্ব, আমলকী ক্ষেত, আনত ক্রিস্তাবেল
দুই হাত – ডাইনে ও বাঁয়ে। 

 

...

 
রাক্ষস বেরিয়ে এলো বন থেকে
রাক্ষস লুণ্ঠিছে লুণ্ঠিছে।

 
 

Moving further back
The joy of winning, then,
Was the peak.
And sunshine would mostly be softly yellow from there.


 

 

সূচনার মত কিছু সুপাড়ির ঘন
সবুজের থেকে কালে নি’ছে শতদল।
তরাল জমাট হ’ছে, সেই সব কমনীয় নারীদের স্মিত
দয়াময় দরিয়ার ভাসো ঝলোমল
অ্যাখোনো স্তুপ-জাগা প্রাচীণ জড়
আঁধোয়ার দ্বিপ-ফুটে নি’চল নেহার
উহাদের ওমকুশুম, পুষ্ট শতদল ছিল
আনোন্দে অনাবিল ইস্কুলে।

 
আরো আগে লালমাছ, নীলমাছ
রাস্তার ভালোলাগা-টাগা।

 

...

 

গোরুবাছুর দাঁড়িয়ে আছে
চড়ুই পাখি বসছে গাছে
কম্লাধোয়া পুণ্যিপুকুর
তেলচিটে ঠায় লক্ষ্মীঠাকুর
ফুটকি ভরা রাতের কালো
থত্থরি খায় হোল্দে আলো
সকাল ছুঁয়ে বৃষ্টি হলো
পানকৌড়ি ডুবগি দিলো
নাচ্ছে দাদা নাচ্ছে দিদি
নাচ্ছে হাহা নাচ্ছে হিহি
নাচ্ছে ঘোড়া নাচ্ছে হাতি
ঝোপঝোপালির চড়ুইভাতি
সন্ধ্যে এবং কৃষ্ণচূড়ার
নিপাট ভালোবাসা
আকূল হয়্যা রসিক নাগর
ছন্দ কষি খাসা।

 

...

 

You give me love and rice, Mama Mercy,
There’s no one as beautiful as you.

 


 

 

  

  

 

      

 

 

 

Wednesday, July 17, 2013

ডব্ল্যু এইচ অডেন বিরচিত “ডিটেকটিভ স্টোরী” কবিতা প্রথম পাঠের আট বছর পরে একদিন বিষম প্রতিক্রিয়া


 


 

ওই বেশ তার আড়াআড়ি কর-ঝমঝমা,

অই বেশ সে রাখালবালক গোরুদ্দুদ খায়

কামিনী তখনো কচি, বাগান কিছু নীলাভ।

সমতলে ক্ষুদ্র চাকর

আমাদের সুখ-সংক্রান্ত তথ্য-নির্দেশিকা বেয়ে বেয়ে

স্তম্ভ-খিলান, তিন বা চারটি কেন্দ্র।

এক অজানা ভবঘুরে ও এক ধনী মানব

সর্বক্ষণ – ধ্রুবসত্য –

এবং এটি ইন বা আউট করা।

 

 

মায়ের কাঁখে যেমনি ঘুমায় শিশু

তেমনি ঘুমায় বিশু। হরিধ্বনি! টাইফুন!

তুতানখামেনের তিমিরহনন!

 

 

তার জীবনের মানচিত্র ধরে ধরে

ক্রমে পটরেখা উপনীত – আলো ও আঁধারের বেশে।

বেসলাইন চুঁয়ে যাই –

কি চমৎ-বিহ্বল!

গির্জার অনুরাগ আয়তনে বিষাদ-ঘর, বাটখারা – আমাদের

সুখ সম্পর্কে সত্য আসে, মায়াভ্রমে চিহ্ন রাখো সুকোমল

শরীরের সুখ প্রথম যেখানে আবিষ্কৃত

করিন্থিয়ান স্বপ্নাদেশ-মতঅতীতের কাছে একটি কবর এবং

ঐতিহ্যগত পরিকল্পনা, ন্যায়ত বাহ্যিক ও বিরক্তিকর

জারজ জ্যোতির্ময়

তুমি অতলে এসেছো

চুমু খেয়ে গ্যাছো আমার স্বজ্ঞা ও নানাবিধ রন্ধ্রে

তিনমুখো কুকুর বাঁধা রেখে সেলুনের ধারে

নীলাচলে হায় মহাপ্রভু

 

এঁকো ভালোবাসায় পূর্ণ একটু স্টেশন

পাখির ডাকে শুরু হল মিষ্টি দিন
বহুগামী মালিক অকুস্থলে বিশ্রামরত

স্থানীয় শত্রুতা ছেড়ে রাতের গভীরে

শেষ পৃষ্ঠায়

জজসায়েব চাটছেন থাবাময় স্নায়ু

কেননা সুখে চরম ক্ষতি, এমন লেখা ট্যাব্লেটে

কি অনাবিল ম্যাক্সি পড়ে নিলো গলিত স্থবির ব্যাঙ!

তখনো রাজপথ থেকে রাজপথে তাড়া খেয়ে

পৃথিবীর শেষ অর্থহীন স্বর

সিংহাসন সমীপে উপনীত।

 

ব্যথা, প্রভু,

দিনান্তে এই বালুচরে

ক্ষমিও, রাঘব

রোমিও, লাঘব।

 

হুমকি স্পর্ধা যেদিন দণ্ডাদেশে ঘটমান

ফাঁসিকাঠ কিছু অস্পষ্ট প্রতিবাদ, কিছু অশ্বত্থ

 

 

 

লাশকাটা ঘরে

জজসায়েব নাই, জল্লাদ নাই

তাই আনত বদনে

ম্রিয়মাণ সাল্যুট

উপত্যাকার কানাচে আলগা মরারুণ

মৃদু ছুঁয়ে যাই আস্তিন, কোপার্নিকাস,

বাজাও তব সুলতান ব্যালালাইকা তবে!

আমাদের নিজস্ব হাসি মৃত মুহুর্তের মিছিলের মত

সোনার পরম হরিণ, আনন্দে, স্বীকারোক্তিতে।

 

...