Thursday, January 23, 2014

মহাদানবের সাগরতীরে

ছত্তিশগড়, ২০১৪
প্লুত-আপ্লুত বহুস্বর, পরিণামের মতো পদতল 
খোঁয়াড়ি খোয়াব ইতস্তত ওড়ে নি বহুপথ, 
ততটা সূর্য্য সেঁকেছে নগরী-অঞ্চল 
যতটা অরণ্যে বাঘের ছায়া, নটরাজ, 
সার্বভৌম ও অবধূত, 
কেননা তারকা খসে পড়ে শিকড়স্বরে  
রক্তপ্রবাল বহুঘরে ভয়চুপ জট
ভালোবাসা ভাত হয়ে ফুটন্ত হাঁড়িতে 
নিভে গ্যাছে অনন্ত ইতিহাসি ঠাট্টায় 
ঘুমিয়ে সে, তাম্রবর্ণ তমিস্রার নাভিদেশ বুঝি
অথবা করোটিতে শোনিতসিঁদুর 
যাতে জাগে কালনাম নিশানী নাবিকের ন্যায় 
জাগে দিনমান আলস্যে অতিরেকে 
জাগে বাঁচবে বলে মৃত্যুদ্বীপ ধুনকিতে
বাঁচবে বলে বিপুল প্রবল বনস্পতির মতো
নদীপাড় ভেঙে চলে একছত্র আলোছায়ায়, 
আঁধারপ্লাবনে। 



ছত্তিশগড়, ২০১৪, 
মানুষের অগণন সন্ততি আছে, 
বর্ণানুগ মিছিল নাই, 
সেহেতু প্রত্নস্বর লুকাও সযতন মণিকোঠা 
পুষ্টিবর্ধক কিছু ধ্যান ও অবগাহনে
অথবা স্পষ্টবীক্ষ্য স্তুতিরৌরব কিছু ধারণ-তর্পণে  
যেমতন ছায় অলীক বিস্রুত জলধি
যেমতন পটরেখা মুছে পটবিবি 
বিস্তারে দিগন্ত-অবয়ব, অথবা আদিমাতা 
ঝর্ণার পাশ মুড়ে মুঠিআঁট প্রগাঢ় নিজস্ব বেদনা
বুঝি গেলে দেবে ডাইনের ভাঁটাচোখ,
থেঁতো হবে হৃদয়ের শেষ আহ্লাদ  
অথচ ক্ষমাহীন গ্রহণের ভয়ে ধুলোচাঁদ 
ছুটে চলে অযুত পাতার আড়াল-আড়ম্বরে   
অথচ চুড়ান্ত বন্যা এলে চিৎকার ধরে পাথর-পার্বণ! 
কান বুঁজে থাকো সনাতন 
চোখ বুঁজে থাকো সনাতন 
অন্ধকারে অষ্টাবক্র দ্যাখো, 
নৈঃশব্দ শোনো, গান হবে, স্তন হবে অমিত অমৃতদায়িনী 
সোনার শস্য হয়ে ঝরে যাবে বুটের অঢেল বয়ানে। 



এখানে অহল্যার অপেক্ষা অতএব।   


Tuesday, January 21, 2014

নাঙ্গি ড্যান্স

মর্জিনা তুই ন্যাংটা নাচিস ক্যান?
মার্জিনে তোর হৃদহাভাতির কূল
দুষ্টগ্রহে নষ্ট ঝড়ের ধ্যান 
মেশিনহ্রেষার পুষ্ট দোদুলধূল

মর্জিনা তোর ঢেউয়ের বকলমে
চোখ মেলে ছায় হদিশখ্যাপা সঙ
কাজলকালার উষ্ণ উপশমে 
মাইয়ের বোঁটায় যুগবদলের ঢঙ 

মর্জিনা তোর লৌহবাসর ছাই
কালনাগিণীর সাতটি তারায় ফণা 
সূর্যডুবি পিওন এলো তাই  
আমার সোনা রৈলো চাঁদের কণা

মর্জিনা তুই নাচরে উদোমতাল 
রাতের ওপিঠ যুদ্ধে জাগে ঘোর 
সপ্তডিঙার হাঁকড়ে কষি হাল 
আয়রে বেটী, হৃদয় খাবো তোর।  




Saturday, January 18, 2014

এক অন্ধত্বে অনেকে বিরাগী

এক অন্ধত্বে অনেকে বিরাগী 
এই ভালো, 
ভীতিকায় বিহ্বল যেমন দৃকপট বহুলে বহমান
পেরেকে ঝুলনে দেদোল যেমন আংরাখা 
অথবা ভূষণে চর্চিত দিব্য অঙ্গরাগ  
অগ্নিভ সগৌরব, বোধ করি সোনার ফসল - 
তেমনই অন্ধত্ব এই আমার, অতএব   
কাজল পোড়ে সহিষ্ণু গালিচা বাতায়নে
বুকের ভিতর বুক পুড়ে থাকে অসুর্যস্পর্শা নগরীর 
মিনারে, অভিসারে - 
তাই এই অনুরাগ 
যা প্লাবনে-পতনে স্তম্ভিত, ঋজু - 
অথচ কাঠামো ভঙ্গুর, 
ত্বক কুঞ্চিত, 
সেহেতু, 
এক অন্ধত্বে অনেকে বিরাগী
অনেক অন্ধত্বে একে বিরাগী 
তার চোখ ভাসে আঁধারসায়রে
তার রূপ কাঁদে তমালছায়ায়  
তার ছায়া পড়ে জলে

Monday, January 6, 2014

ডিজনিল্যাণ্ডে হারায়েছো হায়

করুণ মা-ঠাকরুণ স্বরসায়াহ্নে 
চোখ ভেসে থাকে
ঐ তো চোরাবালি, জাগো বোধিধূম -
অস্ফুট সোচ্চার সায়রে
সমাচ্ছন্ন, অথচ, কি আশ্চর্য্য, বিকারহীন।