Monday, April 3, 2017

অ্যানাকার্সিস

ভাঙো! ভাঙো! ভাঙো হে আইকনোক্লাস্ট, ভাঙো!
যে ঈশ্বর লোকায়ত নয়, তাকে করো চুরমার
প্রেমহীন ভক্তির ভিতে রচো তাণ্ডবঘোর
যে মাটিতে শস্য নেই, বনস্পতি নেই
শবল শাবলে গাঁথো তার প্রত্যক্ষ ফাটল
মলোটভে প্রোজ্জ্বল কর রাজার প্রাসাদ

এ যাপন আমরা তো চাইনি, চাইনি মনুমেণ্ট-মনিকোঠা
চাইনি দুঃখের বুকে সুখের চাবুক
শতধা-বিচ্ছিন্ন তার পরে থাকে রিরংসা ও ক্রোধ
ক্রোধ, তুমি হয়ে উঠে যথার্থ চণ্ডাল,
কবে ছারখার করে দেবে সব?
কবে অবসান হবে এই চুড়ান্ত আর্য্যকাল,
এই নিরাপত্তা-অভিমুখ দক্ষিণাচার?

যা কিছু চেয়েছি বলে, সকলে মিলে,
চাহিদার অতিরেকে ভেসে যেতে যেতে, ডাল ধরি,
চাল ধরি, ধরি ভাসমান, কামার্থ শব -

এইবারে ধ্বংসের পালা, এইবারে স্পর্ধিত সৃষ্টির পালা,
অতএব,
তীব্র তীব্রতর ক্রোধে চৈত্রের সশরীর সূর্য্য হয়ে,
কালবৈশাখী হয়ে, কঠোর প্রতিষ্ঠার মত টোটেমে টোটেমে
মানুষ ও ঝর্ণার আদল এঁকে যাওয়া সুঠাম কুঠার হয়ে,
ধ্বংস করো যা কিছু নিবিড় নয়,
নয় আন্তরিক –

বৃষ্টির মাটিতে সোঁদা গন্ধ এলে
এখনো মানুষ ভালোবাসে –
এখনো সেই ভালোবাসা –
নিছক ও পার্থিব। অতএব, আশা রাখো,
ভাঙো।