শক্তি যদি হাঁড়িয়া হত, এক চুমুকে সাবড়ে দিতাম
শক্তি যদি বৃষ্টি হত, উদোম গায়ে খুব ভিজতাম
শক্তি যদি খোয়াই হত, বিকেল বেলা-এ হারিয়ে যেতাম
শক্তি যদি পলাশ হত, তুলতাম না, ভুলতাম না
কিন্তু শক্তি কবি হল,
নিষ্ঠাভরা কাঙাল হল,
আকাশ হল, আগুন হল,
আগুন-খেকো দুঃখ হল,
মাটির ভিতর শিকড় হল,
জৈষ্ঠ্য মাসের প্রখর হল,
তৃষ্ণা ভরা ফাটল হল
কৃষ্ণচূড়ার মাদল হল
বিষ-ফোয়ারা কণ্ঠে নিল,
কষ্টগুলো পুড়িয়ে দিল,
সুখের জ্বালা জুড়িয়ে দিল
আর আমরা?
আমরা
পিদিম জ্বেলে,কুঁয়োতলায়,
সোনার ফিতে,রূপোর থালায়,
বুকের ভিতর জোছ্না নিয়ে,
ঠোঁটের উপর ঠোঁট নামিয়ে,
ঝিঁঝিঁর গানে, হৃত্-পীড়িতে,
সুখের টানে, যাই ফিরিতে,
রইতে হল, বৈঠা ঠেলে
কথার কথা, কই বা এলে?
ডুবতে হল, ঘুমের ঘোরে
মাঝ-দরিয়ার অনেক দূরে
সাতকাহনের নীলচে ভোরে
ভেল্কি দেখাও, টুকরো সুরে
উল্কি আঁকাও, আকাশ জুড়ে
পাল্কি ছোটাও, রাতদুপুরে
ঊল্কা হয়ে অলীকপূরে
কাঙাল, তুমি যাচ্ছ পুড়ে?
শক্তি যদি কবি না হত,
কাঙাল না হত,
আমরা তাহলে ডুবতাম না, ভাসতাম না, পুড়তাম না, এমনকি উড়তেও শিখতাম না,
নিয়ম, অনিয়ম, বেনিয়মের হিসেব নিকেশ গুলো তো আর অঙ্কের ক্লাসে শেখা যায় না!
1 comment:
ki bolbo ?
ki bolbo?
ki bolbo?
churanto paglami
Post a Comment