পাখিগুলি ওড়াউড়ি করে দিনমান
আলোচিহ্নে ঢেকে ঢেকে যায় বনপথ
মনপথে ভালোভোল্লুক এড়ায়েছে ভল্ল
অথচ কণ্ঠনালিময় অবরোধ, আঁকিঝুঁকি, বিষ
ধিরে ধিরে জেগে ওঠে মৃতপ্রেত, অনুরাগ-সন্তান
বসুন্ধরা রসবতী, বীর ভনে ভানুরাগ নিতান্ত ভোরে
উহাদের ছায়া আজও পড়েনাকো জলে
উহাদের মুখে আজও অজেয় মামদুদু
উহাদের স্রোতে আজো উজানের হুঁশিয়ার!
যুগে যুগে ছুটিয়াছো, ছুটায়েছো, পথ, রথ, ধুলোবালি
ঝুলিয়াছো, ঝুলায়েছো, ত্রিশঙ্কু, লেলিহান, আগুনের খিদে,
আটপৌরে বন্ধ্যাত্ব, নিরহঙ্কার শামিয়ানা, বলদের পুরুষ্টু বীচি
বন্দরে ক্রমাগত নিবে আসে তামাশার সমতট চিহ্নসমষ্টি,
গুহায় গুহায় ধুনি, প্রতিভ জলচ্ছবি, চলচ্ছবি, বালুচর, লীলাবালি
এখনো অঙ্গার হয় পেশির নিষ্পেষণে, সবল বাহুতে জাপটে
পাথুরে রোমশ উপত্যকা – সিংহাসন, আংরাখা – আমোদের আমগাড়ি,
আমেজের আমজাদ – সকলেই উপস্থিত,
রোলকল শুরু হবে এইবার মজাদার ইস্কুলে অতএব।
পাখিগুলি প্রেতেদের পরিচিত, প্রেতগুলি পাখিদের
একে অপরের চোখে খুঁজে নেবে কোটিযুগ বিবির্তনী ঠাঁই,
শান্ত আয়নাময় নীড়, বনলতা, বাইসন, ট্রাইসেরাটপ
এভাবেই ফিরে আসে ডাইনোসর, যুগে যুগে,
ফুয়েলে ফুয়েলে ধ্বনিত জীবক-আল্পনা অ্যাঁকাব্যাঁকা পথে,
এভাবেই ফিরে আসে সকল পলাতক,
সকল ফেরারি ফেরেস্তা, জিন্দেগানি ধকাধক!
ফিরে আসে লুব্ধক, অগস্ত্য, জয়, অভিজি্ৎ, বানরাজা, ব্রহ্মহৃদি, স্বাতী –
বারে বারে, যুগে যুগে, স্রোত হয়ে, ঢেউ হয়ে, সাতটি তারার তিমির ও তিমিরহননের গান হয়ে, রথ হয়ে, জয় হয়ে, চিরন্তন কাব্য হয়ে –
ফিরে আসে প্রেতস্বর, কালপুরুষের লালাভ তলোয়ার উগরে উথলে তোলে
ভলকে ভলকে তার রাগ ও অনুরাগ
ঠোঁটে ঠোঁটে স্বর ছোটে কালযান চক্রবালে, ছোটে ধুলোধুলো ইতিহাস ও তৃষ্ণ মন্বন্তর-ময় লিপিলিখা,
সদম্ভে পঙ্খ পিঠে তুলে নিয়ে অযুত পিপীলিকা
ক্রমে পাখিদের, মাঝিদের, পরীদের সাথে মিলেমিশে এক হয়ে যায় এই আজব ক্রান্তিপটে
পাখিগুলি জানে।
পাখিগুলি জানবেই।
পাখিদের পাঠশালে তাই কলরব প্রত্যহ।
No comments:
Post a Comment