Sunday, August 31, 2014
সলমন খান সেলামেষু
প্রকাণ্ড, দানবিক ভালোবাসা ধায়
চাঁদের ছায়ায়
মোহময় প্রান্তরে উড়ে হরিলুট, ধূলোছাই, হুলো সাঁই,
বাঁশঝাড়ে, এঁদোখালে, আলেয়ার নিশপিশ
সেলোফেন-উষ্ণীষ চকচকে, ঐ দূরে মায়া আছে,
মায়া থাকে,
চিতা ও চিতলে জল খেতে আসে সেইসব নিরালা নালায়
অনেক রক্তস্রোত কখনো প্লাবন কখনো নীল জ্যোৎস্নায় ঠিকরেছে চেড়া জিভ, হিমক্রোধি ছুড়ি
এলোচুল, বাতাসিয়া রিনিরিনি ছুটে যায়,
অতএব, ছোটো
দূর থেকে দূরতর হয়
অতএব ক্রোধ।
মানুষী স্পর্শ জ্বালায়, কামড়ায়,
অতএব কাতর চন্দনবন
অই কাঁথাস্টিচে বাঁধা আর পড়বে না রূপাই বা সাজু
অতএব প্রকাণ্ড ভালোবাসা মহাদানব হয়, মোহরাগ ছুটিয়েছে দখিনা বাতাস
লুটিয়েছে অজস্র নটে ভেবে চন্দ্রমল্লিকা,
জাগিয়েছে, ধিকিধিকি, শেষরাত শুক্র, অন্ধ আদিম দেবতার তৃতীয় ভাটাচোখ,
খামচে নিংড়ে নিয়ে মরমী সুর্যাস্ত, নখরে, শ্বদন্তে সনাতন স্পৃহা,
গোধূলিও সেইমত থমথম, রক্তবৃষ্টি হবে,
ভাঙবে রামধনু ব্রীজ হিংস্র, তীব্র তার অভিমান, অনাদরি,
চণ্ড কুঠারে কুপিয়ে জীবন ও মৃত্যুর অনাদি বনস্পতি -
তফাৎ যাও, সব ঝুঠ হ্যায়।
মেঘে মেঘ কেঁদে ওঠে গমগম হিমদল শঙ্ক তোলে ঠোঁটে,
মেশিনে-মানবে সোহাগ লুটাবে ঘোর, যুদ্ধ, লুঠতরাজ
তুমুল ঝড়ের মুখে স্পর্ধিত লিঙ্গ ঠুষে হা-রক্ত ইতিহাস ও কালের বুকে দাঁড়ায় বিপুল মরদ
ক্রমাগত অসহায় দ্বৈপায়ন পেষিতে ঝড়েছে তার
হাঁড়িকাঠে পর্যাপ্ত বলিরক্ত
অথচ চাঁদের কষ থেকে লালচে জ্যোৎস্না চুঁয়ে পড়ে
অরণ্য প্রশান্ত, প্রান্তরে চিতা ও চিতল,
মুখোমুখি স্থিরস্থিত নীলকণ্ঠ মানব-মেশিন-দরদ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment