দিনান্তে কি বিদ্যমান চিত্রল সমাহার!
ব্যথা, প্রভু,
দয়ালু বালুচর ঐ
হাওয়াজটা অর্ধস্ফুট,
বিমল;
...
ষড়ৈশ্বর্য্যে জীবন ও শরীর
শাসন দেবী, বোবা,
মাতা
পৃথিবীর সব পাপ ক্ষয় হয়ে গেলে
কড়াইয়ের মত জেগে থাকো কাফন,
নিশাচর।
...
ভালোবেসে গান দিল পাখি
বুক জুড়ে ইতিউতি থাকি
মহাসমুদ্রে ভাসমান মহাবিশ্ব
সূর্য্যরঙ, চন্দ্ররঙ
পাগোল রাখ পা
স্নিগ্ধ হৃদয়।
...
কাপ্তান, তুমি ঘরে চলাচল
কাপ্তান কাপ্তান ডাকি
কাপ্তান তুমি দুপুর-স্বপ্ন
ঘুঘুসুন্দর - অর্পণ
ফেনিলে উড্ডী-উড্ডী অমোঘ ইতিবচন
...
তুষ্টিকাতর, ইতস্তত
আদিম বনস্পতির মত
পালক ঢাকা চাবুকক্ষত
দেখবি যত জ্বলবি তত
আকাশখেকো মেঘের কালো
চাঁদের বুকে রাত পোহালো
বাসছি ভালো, জ্বালছি আলো
ভীষণ জোরে কাঁদবি বোলে
চললি ছুটে সকল ফেলে
দুকুলভাসী তুফান ঠেলে
থাকলি চেয়ে চক্ষু মেলে
...
সমুদ্র পূর্ণ হয় সহজ অর্থহীন ঘ্রাণে
চুবানি খাই, পায়ে ধরি
দয়া দাও, আবরণ-আভরণ আভা
আনন্দ পূর্ণ হল ঝিলমিল ফেস্টিভাল
ভালোবাসার সমুদ্র, ডুবে উঠে দ্বীপ
হারাও, নাবিক – ভাসমান বন্দর
ভস্মের মত ওরা হয়ে আছে ক্লীব
হৃদয়ের অস্পষ্ট আলোকে
সমুদ্র পরিপূর্ণ হয় সহজ ভালোবাসার ঘ্রাণে
...
দ্বিপ্রহরে একটি কল-করুণ, মা
ছোট্ট হাইফেন কান্দে, দু’হাতে বেলুন
ঠাণ্ডা অন্তর্বেদনা ফাটি’ সরল আদর নির্গম,
করজোড়ে দণ্ডি,
নুই,
কৌম,
সন্তাপে সহন
সায়াহ্নে একটি মুর্তি হাঁ-করুণ, মা
ছোট্ট হাইফেন কান্দে, দু’হাতে মরারুণ
লালবেলুন নীলবেলুন উড্ডী দিকচক্রস্থ ডালিম
গাঢ় বেলাভূমে,
সারারাত শীতল বাতাস বহে
...
কর্ণসুবর্ণের কানের কাছে
কর্ণফুলি লুকিয়ে আছে
বাবা বলিলেন লণ্ডন যা,
লাফিয়ে এলো ঢেণ্ঢণ পা।
উড়ালপুলে সরীসৃপ
ব্যা ব্যা ব্ল্যাক শীপ
হে প্রকাণ্ড মধুসূদন
লহিও প্রণাম, করিও বোধন
...
সারারাত একা একা চিলেকোঠা ছাদে
ফারিশ্তা কাঁদে
সারারাত একা একা চিলেকোঠা ছাদে
চুমু মারি চাঁদে
সারারাত একাএকা চিলেকোঠা ছাদে
পড়ে যাও ফাঁদে
সারারাত একাএকা চিলেকোঠা ছাদে
রহি আহ্লাদে
...
একদা দ্বিপ্রহরে আমি
খাইতেছিনু ল্যাধ
এমন সময় হাঃহা রবে ছুটিয়া এলো ব্যাধ
জ্বলতেছিলো চক্ষু তাহার হস্তে ছিলো ধোনু
বাবলা গাছের ডগার কাছে ঘষতেছিলো নোনু
রক্তলোলুপ কুত্তা ছিলো তাহার পিছুপিছু
উহার হ্যানো মুরতি দেখি উঠল টাকে বিচু
এমন সময় হাঃহা রবে ছুটিয়া এলো ব্যাধ
জ্বলতেছিলো চক্ষু তাহার হস্তে ছিলো ধোনু
বাবলা গাছের ডগার কাছে ঘষতেছিলো নোনু
রক্তলোলুপ কুত্তা ছিলো তাহার পিছুপিছু
উহার হ্যানো মুরতি দেখি উঠল টাকে বিচু
এই বুঝি বা মুগুর হানি কর্লো থেঁতো-ক্বথ
হেঁইয়া বোলে হিক্কা তুলে পাই না খুঁজে পথ
ঐ বুঝি তার প্রহারেচ্ছু অঙ্গুল নিশপিশ
ভয়ের চোটে বর্ধন হয় আমাদের অদ্রীশ
আকাশ বুঝি চিড়েই দিলো ডালকুত্তার ঘেউ
মন্থিত ঐ কালসায়রে উথল হল ঢেউ
এমন সময়ে ব্যাধবাবাজী দিলেন বরাভয়
“যেমন তুমি ভাবছো বাছা, ব্যাপার তেমন নয়”
শঙ্কামোচন হবার পরে চক্ষু মেলে চাই
কুত্তা এবং ভয়াল নিষাধ কেহৈ কোথাও নাই
পুকুর জুড়ে মাগুর কিছু দিচ্ছে সদা ঘাই
হাম্বারবে দুলকি চলে লক্ষ্মীধবল গাই।
...
রহস্য ছিল বিশ্বের বাজারে ও উল্লাস
শেষের দিকে
রাস্তা পায়ে পায়ে
নেভিগেশন
কুতুবমিনার
ময়ুরপুচ্ছ পথে
জামবাটি সাজিয়ে রেখেছি
আলো পড়ে
সেই হয়
কান্নাকাটি, খাঁটি চিন্তা
...
গুণমান প্রযত্ন-পর্যটন
দেহ পচে পচে যাই
দেহমিষ্টি ঝাল অধিষ্ঠান,
ওহো বিশ্বের মিষ্টি!
হৃদয়ের মধ্যে একটি গুহা
দিনমান বহুদূর চলে যাই
পূত বাসনার কাছাকাছি
কগনেট ফেরিঅলা
চাঁদদুয়ারী – শাপমোচন, পতিতপাবন
সত্যগুরু, বচনে সাঁই,
বহুভূমে ঠাই।
...
অমর হয়ে বেঁচে থাকো অমরত্ব ফুল
পূর্ণ ও পরিণত উহা গোপনীয় ব্যথা
হৃদয়ের অনন্ত সমুদ্রের সমুচ্চ্বারে
পাল তুলে জীব-ঈশ্বর যেমত
ডিসেপ্টিভ শিশুবিতান।
অমর হয়ে বেঁচে থাকো অমরত্ব ফুল
ভালোবাসার নিখাদে চলে যাই।
...
1 comment:
কবিতাগুচ্ছ বিংশ শতাব্দীর বাংলা লিরিকধর্মীতার আন্সাং জিনিয়াস ভবা পাগলার প্রতি উৎসর্গীকৃত
Post a Comment