Wednesday, July 17, 2013

ডব্ল্যু এইচ অডেন বিরচিত “ডিটেকটিভ স্টোরী” কবিতা প্রথম পাঠের আট বছর পরে একদিন বিষম প্রতিক্রিয়া


 


 

ওই বেশ তার আড়াআড়ি কর-ঝমঝমা,

অই বেশ সে রাখালবালক গোরুদ্দুদ খায়

কামিনী তখনো কচি, বাগান কিছু নীলাভ।

সমতলে ক্ষুদ্র চাকর

আমাদের সুখ-সংক্রান্ত তথ্য-নির্দেশিকা বেয়ে বেয়ে

স্তম্ভ-খিলান, তিন বা চারটি কেন্দ্র।

এক অজানা ভবঘুরে ও এক ধনী মানব

সর্বক্ষণ – ধ্রুবসত্য –

এবং এটি ইন বা আউট করা।

 

 

মায়ের কাঁখে যেমনি ঘুমায় শিশু

তেমনি ঘুমায় বিশু। হরিধ্বনি! টাইফুন!

তুতানখামেনের তিমিরহনন!

 

 

তার জীবনের মানচিত্র ধরে ধরে

ক্রমে পটরেখা উপনীত – আলো ও আঁধারের বেশে।

বেসলাইন চুঁয়ে যাই –

কি চমৎ-বিহ্বল!

গির্জার অনুরাগ আয়তনে বিষাদ-ঘর, বাটখারা – আমাদের

সুখ সম্পর্কে সত্য আসে, মায়াভ্রমে চিহ্ন রাখো সুকোমল

শরীরের সুখ প্রথম যেখানে আবিষ্কৃত

করিন্থিয়ান স্বপ্নাদেশ-মতঅতীতের কাছে একটি কবর এবং

ঐতিহ্যগত পরিকল্পনা, ন্যায়ত বাহ্যিক ও বিরক্তিকর

জারজ জ্যোতির্ময়

তুমি অতলে এসেছো

চুমু খেয়ে গ্যাছো আমার স্বজ্ঞা ও নানাবিধ রন্ধ্রে

তিনমুখো কুকুর বাঁধা রেখে সেলুনের ধারে

নীলাচলে হায় মহাপ্রভু

 

এঁকো ভালোবাসায় পূর্ণ একটু স্টেশন

পাখির ডাকে শুরু হল মিষ্টি দিন
বহুগামী মালিক অকুস্থলে বিশ্রামরত

স্থানীয় শত্রুতা ছেড়ে রাতের গভীরে

শেষ পৃষ্ঠায়

জজসায়েব চাটছেন থাবাময় স্নায়ু

কেননা সুখে চরম ক্ষতি, এমন লেখা ট্যাব্লেটে

কি অনাবিল ম্যাক্সি পড়ে নিলো গলিত স্থবির ব্যাঙ!

তখনো রাজপথ থেকে রাজপথে তাড়া খেয়ে

পৃথিবীর শেষ অর্থহীন স্বর

সিংহাসন সমীপে উপনীত।

 

ব্যথা, প্রভু,

দিনান্তে এই বালুচরে

ক্ষমিও, রাঘব

রোমিও, লাঘব।

 

হুমকি স্পর্ধা যেদিন দণ্ডাদেশে ঘটমান

ফাঁসিকাঠ কিছু অস্পষ্ট প্রতিবাদ, কিছু অশ্বত্থ

 

 

 

লাশকাটা ঘরে

জজসায়েব নাই, জল্লাদ নাই

তাই আনত বদনে

ম্রিয়মাণ সাল্যুট

উপত্যাকার কানাচে আলগা মরারুণ

মৃদু ছুঁয়ে যাই আস্তিন, কোপার্নিকাস,

বাজাও তব সুলতান ব্যালালাইকা তবে!

আমাদের নিজস্ব হাসি মৃত মুহুর্তের মিছিলের মত

সোনার পরম হরিণ, আনন্দে, স্বীকারোক্তিতে।

 

...

 

  

No comments: