Thursday, October 7, 2010

সমাধি








সমাধি

১) বাগান

সুখ-বাগিচায়ে কয়েক ফোঁটা দুঃখ পুঁতেছি

দুঃখ-চারা সবুজ ভীষণ, চোখ সরিয়ে নাও

বাঁচার আলো তীব্র হলে দুঃখ পাবে ভয়!


দুঃখ-গাছের হলদে ফুলে নাচছে যত ঢেউ

দুঃখ ফুলের শুকনো মালা গাঁথিস ক্যানো মন?

ঢেউয়ের মাথার রঙচটা ঘর তোর বা আমার নয়


সেই ঘরে আজ বিষন্ন স্রোত দুকুলভাসি বুক

রাখাল জানে স্রোতের মানে বাঁশির টানে প্রাণ

বুকের ভিতর বিপন্নতা, তেষ্টা মেটে নাই


তেষ্টা ছিলো ভীষণ প্রিয়, বাগান ছিলো সেই

বিবর্ণতায়ে ছন্দবহুল শুকনো পাতার ভিড়ে

নদীর তীরে, পাখির নীড়ে সুখ-পোড়ানো ছাই


২) ভয়

ওই, সবাই যাচ্ছিস কোথা?

ডাকছিস কাকে?

থামছিস না ক্যানো?

আমি নিশ্বাস নেবো কি করে?

এতদিন সবকিছু এত সোজা মনে হচ্ছিলো কিভাবে?


নদীর কোলে মস্ত বড় আগুণ জ্বলছে

ওই, এইবারে বোধহয় আহুতি হওয়ার পালা!...

পাথর ঠ্যাল্, পাহাড় ভাঙ্,

নেকড়ের নোখ বসে যাচ্ছে গলায়ে

নেকড়ের চোখ বসে যাচ্ছে মাথায়ে

নেকড়ে আমাকে ভালবাসে না

নেকড়ে তোমাকে ভালবাসে

গুহার পথ পিচ্ছিল

শ্যাওলার অহমিকা নেই

(আংটি অনামিকাতেই)

বালিতে অভ্র আছে

আমি অভ্রভেদী

তুমি ভীষণ জেদী

রহিছো নিরবধি

দীঘিতে রঙীন মাছ

মাছের চোখে অনেকদূর

তোমার আমার অচিনপুর

মধ্যরাতে টহলদারী

কোথায় তোমার রঙীন বাড়ি?



তেপান্তর!


৩) পিণ্ডদান

বিকেল নামে: পাতার ভাঁজে, ধুলোর আস্তরণে,

আসনপাতা সম্মোহনের ক্লান্ত সমর্পণে,

বিকেল নামে: পাতার ভাঁজে, ধুলোর আস্তরণে


বার বুঝি বকুলফুলের আকূল হওয়ার পালা

দুঃখ-গাছের পাতার ফাঁকে হঠাৎ সুখের জ্বালা

বার বুঝি বকুলফুলের আকূল হওয়ার পালা ?


এখন তবে অথই জলে প্রদীপ হয়ে জ্বলো

একলা থাকার গানগুলো সব ভুলতে চাওয়াই ভাল

এখন তবে অথই জলে প্রদীপ হয়ে জ্বলো ?

No comments: