Wednesday, November 29, 2017

নির্গ্রন্থ

এখন পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম। শীতের শস্য গোলায় উঠেছে, বাদামী ক্ষেত, মাঠ
এই ধরণের সময়গুলোতেই আমরা ধূসর খামারবাড়ি, ত্যক্ত দালানবাড়ি, ধূলোট আরামকেদারা, থমকে থমথম গ্র্যাণ্ডফাদার ঘড়িদের অ্যাডজেক্টিভ-অন্বয় মৌতাতে ভাবি, এখানে সব শান্ত, স্থির -
বহুদূর হেঁটে বিরাট নির্বান্ধব কোনো বনস্পতির কাছে চলে যাওয়ার মতো।

হাঁটা প্রয়োজনীয়। সন ২০১৪র ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কাশ্মীর উপত্যকায় দেখা হয়েছিলো যে যুবকের সাথে, তার পুরুষাঙ্গ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কেউ কর্তন করেছিলো, 
সেই থেকে,
সেও অবিরাম হেঁটে চলেছে চিনারবনে।

মানুষে সমষ্টিগতভাবে হতেই পারতো বনস্পতিদের চেয়ে সৌভাগ্যবান।
তারা বলতেই পারতো একে অপরকে –
“আমরা সবাই একা”,
“আমরা সবাই ঠিক এভাবেই ভালোবেসেছি বা বেসেছিলাম”, ইত্যাদি;
অথচ,
জানলা বন্ধ হয়ে গ্যালো।
দরজা বন্ধ হয়ে গ্যালো।

এখন সময় গম্ভীর হয়ে আসছে। সন্ধ্যের সোনার থালা পূর্ণচন্দ্র মাঝরাত হতে না হতে
কানা ডাইনীর টকটকে লাল চোখ। বাইরের অনন্ত ব্যপ্তি ভিতর ধরে না সহজে।
রূপ ধরে না অরূপ। বন্দরে ছিমছাম ঘুমোচ্ছে কয়েকটা বুড়োটে জাহাজ,
আস্তাবলে কয়েকটা ঘোড়া।

অথচ, চলমান আমাদের মধ্যে
আমাদের চলমান ছায়াদের মধ্যে,
যারা দাঁড়িয়ে পড়ছে, বসে পড়ছে, ঝুঁকে পড়ছে
ইউনিভার্সের কার্ণিশ, পোর্টিকো, ব্যলকনি ধরে, যারা রাজবাড়ি যাবে না,
ভুঁড়িভোজ খাবে না,
মধ্যযুগীয় কোনো জলদস্যুর খুলি থেকে খুলে নেবে না এক-আধটা সোনার দাঁত
তাদের দিকে রাইফেল তাক করে আছো যারা, প্রিয় স্নাইপারবৃন্দ, -

তোমাদের চোখে পাতা পড়ে না
তোমাদের অগণন উত্তরাধিকার, অথচ,
জেনে রেখো,
তোমাদের জন্য,
কেউ কেউ কিন্তু পাথর জমিয়ে রাখছে ঠিক
তারাদের নাম রাখছে পাথরদের নামে,
পাথরদের নাম রাখছে তারাদের নামে। আকাশের নাম রাখছে – সময়।

No comments: