***
***
***
রসিক নাগর ফেরে পালটানো পথে।
বেরসিক নাগরিক কলা ব্যাচে রথে।।
ব্যাবিলনে ঘুঘুবনে ঘোরে হাহাকার।
বহি’ চলে অবিরাম বিষাদপাথার।।
পাথারে পাথর ভাসে, রসে ভাসে দেহ।
পঞ্চ প্রহরী তার চিনে কেহ কেহ।।
একদিন চিনে নেবে, জাপানেও নেবে।
আগুন গিয়েছে নিভে নগরী নিনেভে।।
নগরীর নটী অভিসারসহ কালের গর্ভে মিশি’।
ভাঙনঘুমে ডুকরে ওঠে কাঙালপারা নিশি।।
আগুনে নিয়েছে কিছু, আঁধারেও আরো।
ইতিহাসে পাঁতিহাসে মিলি’ পোয়াবারো।।
ভূমধ্যসাগরে যদি মধ্যম পথ।
দেখিতেন বুদ্ধ তবে উড়ে যেতো রথ।।
রথে চেপে শবরের মঠ লোঠে হিন্দু।
হেরি’ছে এ’হ্যানো সীন বঙ্গনামা সিন্ধু।।
কত কিছু ঘটি’ যায় মেদিনীর ধড়ে।
লাফাই’ উঠে উচ্চিংড়ে লাফায় কিছু ফড়ে।।
নানানজন নানানদিকে নানান কিছু ধরে।
টুঁটি ধরে চৈতন্যকাল মারণ-কামড়ে।।
পুলিশ ধরে মধ্যরাতে পেঁচোয় ধরে ভোরে।
আশমানময় নানানরঙা ধান্ধাঘুড়ি ওড়ে।।
জমিনময় সূত্রধরেরা লাটাই কষে ধরছে।
সেই গুঁতোতেই আবাল কিছু কোল্যাটারাল মরছে।।
রাখাল বালক বজ্রমুষ্ঠে ধরিয়া ধেনুর পুচ্ছ।
নদীজলে বীর্য্য তাহার ঢালিছে গুচ্ছ গুচ্ছ।।
কারণ-অতীতে ডোম্বী-বীর্য্য টলাইলা চণ্ডালী।
খরপর্বতে ডমরু বাজিলে নাচিবে কঙ্কালী।।
আজি যে বালক কাল সে যোগী ধরিয়া র’বে বিন্দু।
মাংসগল্পে কহিবে জাতক হইও সবার বন্ধু।।
জ্বলছে মাংস জ্বলিবে টায়ার জ্বলিতেছে গ্যাসোলীন।
রহিবে রসিক চিরবিষাদী, রহিবে না আশাহীন।।
***
***
***
No comments:
Post a Comment