Saturday, November 12, 2016

দেহনগরী

দেহনগরীতে এত তো অঙ্গার,
এত, রাগ বিতরাগ ভালোবাসা
তপস্বী বেড়াল তবু চাঁদের মুঠোয়
একাগ্র, অনড় – অথচ বহুদূর হেঁটে যায়
গভীরের মরুভূমি ধরে, ভিতরেও মরুভূমি আছে,
আছে খালবিল, চাঁদবেনে, সপ্তডিঙা
কত কিছু ভিতরেই থাকে, বাঁশীরোল থাকে অরূপসায়রে
শূন্যতা থাকে ভিতরে ও বাইরে

অথচ ক্লান্ত শরীর খুঁজে চলে ইতিহাস
যবে থেকে জেনেছে সে আঙুলের ফাঁকে বালি
চিনেছে কপোত ও কপোতাক্ষ উড্ডীন, সূর্যালোকে উদ্ভাস,
তবে থেকে, মার্জারক্রন্দসী, বেড়াল ধরেছে ইঁদুর
দূর থেকে নেমে আসা বাজ শিকারী তীরের দিকে
সেইখানে, নদী পার হোয়ো, থরেথরে ভালোবাসা
রয়ছে সাজানো রেকাবি ও পেয়ালায়, রেখাব ও গান্ধারে

সেইখানে এসো, বহুদিন ধরে এসো, ধিরে এসো
কেননা যোদ্ধা শরীর খুঁজেছে গাথাসপ্তশতী-ইতিহাস
যবে থেকে জেনেছে সে আঙুলের আয়তনে
ধরা পরে ঘাস ও শিশির, ধুলোয় ধুলোট প্রেম
বিতরণ হয়ে গেলে দেহনগরীর অলিতে গলিতে –

মোচ্ছব অবসান হলে –
স্বপ্নের ইগুয়ানা আসে, সালফির মৌতাতে ভোর হয়ে আসে
আসে নীলতারা, আসে জলপরী মেণ্ডকী নদীটির তীরে
জঙ্গলে রাগীরাগী দেবতারা দেবীদের শারীরিক লেবুগন্ধে মেতে
প্রশমিত করে ক্রোধ, টিলাতে আগুন নিয়ে আবুঝমাড়ের গাথা
পার্থিব ইতিহাসে গেঁথেছে সবলে শাবল, বেজেছে সরোলে মাদল
যাকিছু ছোড়ুব নাহি, লায় রো রেলা রেলো রে,
এলাই এলাই লামা লামা সাবাকথানি
ব্যাবিলনে ছিলো রাণী, ছিলে নারী – কোথা’ ছিলো কথাদের কথকতা

আছে,
যৌথখামার ভরা প্রতিরোধ আছে
শূন্য খামার জুড়ে পূর্ণতা আছে
পূর্ণতা পেতে থাকা শূন্যতা আছে
আছে বলে, সোনালী ডানার চিল,
সারারাত গান গায় আঁধার বোষ্টুমী
যুবরাজ বাঁশী – সব আছে কবিতার স্বদেহী মিছিলে
সমস্ত শরীর দিয়ে কবিতারা হয়ে যায় ইতিহাস
পাপীতারা ঝরে যায় হেমন্তবিষাদে
কোনো এক নিষাদবালক তার কুড়িয়ে নেবেই পালক
কোনো এক হিমঘুম তার কেড়ে নেবে ভরমার রাইফেল
কোনো এক স্তম্ভিত হলুদ জেসিবি এসে থমকে দাঁড়ালো
কোনো এক রডোডেণ্ড্রণ সমীপে – বিদ্রোহী, অথচ,
নিশ্চল, নিশ্চুপ

No comments: