Saturday, January 3, 2015

TikTikiMochchhawb - Based on Jim Morrison's Celebration of the Lizard

পথে সিংহ

পথে সিংহ-বিচরণ
সরমা, তোর সন্তানাদী মহাক্রোধি
লালাঝর  উত্তাপ, শোহুরে হৃদবন্দী পশু অতিকায়
তাঁর মাতৃদেহ পচ ধরেছে গ্রীষ্ম উপত্যকায়
তিনি শহর ছেড়ে বহুপথ মোকাম

দক্ষিণাভিমূখী সীমান্ত অতিক্রম
কাঁধের পিছনপুরীময়
বিশৃঙ্খলা, ব্যাধি ও বিকার

সকালে তিনি সহসা জাগেন সবুজ হোটেল কক্ষে
পাশে অদ্ভুত প্রাণী, মারণনাদ
উজ্জ্বল স্বেদক্ষরা ত্বক

শালারা আছিস?
ভিতরে আছিস?
সবাই আছিস?
এক্ষণ আরম্ভণ নিদারুণ
মেমফুত্তি!

জেগে ওঠো

জাগো!
স্থান - মনফাটলী অবলোপ
স্বপ্ন - সটান থমথম
সে সর্প ছিলো ফ্যাকাশে
সে সর্প ছিলো স্বর্ণাভ, উন্মত্ত ও সন্ত্রস্ত
আমরা ধরতে থরোথর
চাদর ছিল বটে উষ্ণ, মৃত কয়েদকুপ
মেয়ে - আমার পাশে ছিল,
বৃদ্ধা, সে,
অথবা নয়;
সে যুবতী তার চুল গাঢ় লাল
তার চামড়া সাদা এবং নরম।
এখন বাথরুমজোড় আরশীনগর অভিমূখ,
ভোঁ দৌড়!
সে তো এখানে আসছে

তার চলাচলময় প্রতিটি মন্থর শতাব্দীর মধ্যে বসবাস আমার কুম্ভীপাক
শীতল মসৃণ টালি বরাবর
গাল গড়িয়ে,
নিম্নপানে,
হিমশীতল জ্বালাদীর্ণ সকল প্রিয় রক্ত অনুভব
বৃষ্টির মসৃণ সাপ ফণা তোলে

ছোট্ট খ্যালা

এক যে ছিলো ছোট্ট খ্যালা:
হামা দিতে দিতে মাথার ভিতর অ্যাবাউট-টার্ণ -
ফিরে আসা
তুই জানিস খ্যালাটার কথা
খ্যালাটার নাম পাগলে যা

এবার আরেকটা ছোট্ট খ্যালার অভিপ্রায়
রুদ্ধ চোখকুটুরি মজাভুলভুল
আত্মনাম বিস্মরণী
রূপঅরূপ বিস্মরণী
বিশ্ব বিস্মরণী
মানবলোক বিস্মরণী
আয়, অন্য চুড়ো খাড়া করি এক্ষণে

সামান্য খ্যালা, পর্যাপ্ত চুলবুল
চোখ বন্ধ কর, এই খ্যালায় হারজিত নাই
আমি এখানেই আছি,
এইবার বল্গা ছাড়ার পালা,
এইবার আমাদের ব্যূহভেদের পালা।
পর্বতচারী

মস্তিষ্কের গূঢ় গভীরে
ব্যথার রাজত্ব হাপুশ টপকিয়ে
সে’রাজ্যে বৃষ্টি হয় নি কোনোদিন
এবং শহরিয়া হাভাত-বুকে তুলতুল বৃষ্টিমুখ
এবং আমাদের সকলের মাথার ডগায় হাভাতিয়া তুলতুল বৃষ্টিমুখ

এই অসীম গোলকধাঁধাঝলমল প্রবাহের অন্তরালে
পারিপার্শ্বিক সুষম পাহাড়ের স্নায়ুময় বাসিন্দাদের শান্ত অপার্থিব উপস্থিতি উচ্ছ্বাসিত সরীসৃপ ও উহাদের জীবাশ্ম,
গুহা,
শীতল বায়বীয় উচ্চ্বতা

ঘর
ঘর
আরো ঘর
সব ঘর এক ছাঁচে ঘ্যানঘ্যান, নিথর
অথচ জানালা-কপাট-গবাক্ষ গোলগোল ভোঁচক্কর,
চৌখোপ পাল্লা, ঘূর্ণায়মান সমষ্টি।
একটি জান্তব গাড়ি সকালের বিরুদ্ধে নিজেকে তালাবন্ধ রাখছে বাঞ্ছিত এইখানে
এখন সবাই ঘুমায়
নীরব মাদুর, শূন্য আয়না
বিধিবিবাহিত দম্পতির শয্যাতলে অন্ধ ধুলো
চাদরময় ক্ষত এবং পরিচ্ছন্ন ও তৃপ্ত বীর্যগ্রাহী কন্যাগন –
তাদের মাইয়ের বোঁটায় চোখ জেগেছে হাজারকোটি,
হাজারআলো,
হ্যাজাক জ্বালো
চোখ জেগেছে বৃন্তজুড়ে।

দাঁড়াও, এখানে একটা খুন হয়েছে!

কথা কইতে থেমো না,
ইতিউতি চাইতে থেমো না
তোমার দস্তানা ও পাখা মাটিতে
করাল দাগচিহ্ন
আমরা শহর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছি
আমরা বিদীর্ণ পলাতক।
তুমি সেই জন।
তোমার ক্ষরণ আমার আয়তে!
পৃথিবী চণ্ডালিনী

পৃথিবী ছুঁস না,
সূর্যপানে চাস না
কিচ্ছু করার নেই,
ছুট ছুট ছুট
এতাল বেতাল ছুটিছুটি ছুটছুট

পাহাড়ের উপর বাড়ি, চাঁদ নিস্তব্ধ শুয়ে
গাছের ছায়া প্রত্যক্ষ করে বুনো বাতাস
আয় খেপী, দৌড়ো আমার সাথে
আমরা ছুটি
আয় খেপী
হা-আকাশ হা-চন্দ্র হা-অন্ন হা-ব্রহ্ম হা-উজান হা-লালটিপ হা-বাসস্টপ হা-আঁধারমণি হা-বোধিভাণ্ড ছুটিছুটি ছুটছুট ছুটিছুট ছুটিছুটি ঝিকঝিক কুকু ছুটচক্কর।
আয় খেপী।

পর্বতশিখরে উষ্ণ অট্টালিকা
কক্ষসকল সমৃদ্ধ ও সদাসুখী
প্রাচুর্যমণ্ডিত কেদারার বাহুডোর কিছুবা রক্তাভ

তুই অন্তর্নিবেসেচ্ছু বটে
নইলে এমন
ধারণ-যাপন
মিলবে শালা কোন ফিকিরে?

গাড়িতে রাষ্ট্রপতির লাস
স্টিয়ারিঙে আচ্ছন্ন স্বরাট চালক
আলকাতরা সঞ্চালিত আঠাআঠা ইঞ্জিন
সঙ্গে আয়, সুদূর ভ্রমণে যাই না
রাজা হতেও চাই না
আমি যাই পূবমুলুকে,
জারের দরবারে হাজিরা জানাবো

ছুটো তবে সাথসাথ
ছুটে চলো সঙ্গে
শোণিততরঙ্গে
মরমখাকি মহারঙ্গে
বাবাইয়াগার বাপ জাবরখাকি
ধ্বংসঢাকের নাগরঢাকি।


কিছু দস্যু একটি হ্রদের ধারে বসবাস করতো
মন্ত্রীর মেয়ে সাপের প্রেমে পড়লো
সাপ থাকতো পথপার্শ্বে একটি কুঁয়ায়।
জাগো, অরূপবালা!
আমরা প্রায় বাড়ি পৌঁছে গেছি।

সূর্য পুড়ে ছাই
চন্দ্র পুড়ে ছাই
আমি মগডালেতে বসিয়া
ঠ্যাংযুগল দুলাইয়া দুলাইয়া
আসমান ধরে খাই।

তোকেই পাবো
শীঘ্র পাবো
পাবোই পাবো
জলদি পাবো
আমি টিকটিকিবাহাদুর
আমি সব পারি!



সাম্রাজ্যগুলোর নাম

এসেছিলাম নদী এবং মহাসড়ক বয়ে
এসেছিলাম অরণ্য এবং বুনোঝোরা বয়ে
এসেছিলাম মুলুকের নানান সাকিন বয়ে
এসেছিলাম বিমোহিত হোমাপাখির চরণ বয়ে

আমি তোকে সেইসব সাম্রাজ্যগুলোর নাম বলতে পারি
আমি তোকে তুই যাকিছু জানিস সমস্ত বলতে পারি
একমুঠো নীরবতার জন্য উৎকর্ণ,
ছায়াবৃত উপত্যকা
আমি, অধিরোহী।
নির্বাসনের প্রাসাদ

সাত বছরকাল নির্বাসনী অস্পষ্ট প্রাসাদ
দ্বীপেবালাদের সাথে আজব খ্যালাধূলা,
আপাতত আমি পরিষ্কার জমির কাছে,
বলিষ্ঠ ও জ্ঞানীদের কাছে
ফিরে আসছি।

ওরে ফ্যাকাশে জঙ্গলের খ্যাপাখেপীরা,
ওরে চুপকপাট রাতের শিশুরা,
মধ্যে কে আছিস যে শিকারের সাথে ছুটবি?

এখন রাত্রি তার ময়ুরকণ্ঠী সৈন্যসামন্ত সঙ্গে নিয়ে আসে
এখন ফিরে যা তোদের তাঁবুতে,
তোদের নিরিবিলি স্বপ্নে;
আগামীকাল আমরা আমার জন্মনগরে প্রবেশ করবো
আমি প্রস্তুত থাকতে চাই।



1 comment:

Soumi said...

This one was so elaborate and to some extent, even taxing.