Tuesday, October 21, 2014

বাঁকানো শিং ও বৃংহন এই অনিমেষ সংঘারামে
অন্ধকারে জাগো তাই, মশক, শশক ও শশীকলা
আমি তোমারই জন্য মখমল-মোড়া রেকাবিতে তিনটুকরো তরমুজ
যদ্যপি আঁশবটি ধরিয়াছে তীব্র নভোমণ্ডল-হুঁশিয়ারি,
তাহারও দোকান এই রম্য বাগিচায়, বসুন্ধরা ও আদুরে ঘনীভবনে
তার যে গর্ভধারিণী
এই বনে ঘাইহরিণী – সন্ধ্যালোক, প্রেতকাল, ভূমনাদ!
অথচ আনমনা সে নদীপারে
গোধূলির নামটি ধরে সাজছে মালা তেপান্তরে
কিয়ৎ কুয়াশায় চোখ সয়ে লয়ে ব্যঙ্গমা ছিঁড়ে নিলো একটুকরো শহুরে ক্লান্ত ঘাম-কাদা-ডিকেলোধ, ঝারোখার ওইপারে মিঠানদী, মিঠাপানি, কুচোমাছ কয়ে কথা কি কথা ও কয়ো রে
মিঠানদী আকাশের মুখে সূর্যের আয়না
পবিত্র বট-গ্রোভ, আরো দূরে দূরে নীল লাল মেঘেদের পেঁজাতুলো, লালচে রুমাল ফুরুফুর চুরুটের শহরের ময়দান, রাতচূপি কুয়াশার মতো, বুক পাতো, মনুমেণ্ট, স্যাক্রামেণ্ট, হাটবার, ওলঝাড়, বাদুরের ঝুলনেই গানভাসী খাজনা
এইখানে ধুঁয়াধার ঢোলকের খাজনা, রেঞ্জের অতিদূরে থেকে পিছলোচ্ছে নীল আলো
নীল হ্যারিকেন, নীল রাতপালাঘাটবন্দর।
এইখানে খুঁজে নাও, মুসাফির, কন্দর।
পিছলাও, অবিরাম, মনের বনে, গহীন কোনে
সরণ, অপসরণ, হড়পাবান, শ্যাওলা, পাথর – ভূগর্জনে
গরজি উঠিল মোহনলাল!
সমাগত সামন্ত তরোয়াল, লোহাঢাল, কেড়েছে মেরেছে হেরেছে হরেছে তাই
কেউ কাঁদে দিনমান কর্কষ খাজনায়
কেউ কাঁদে রাতভর বেঘোরের বাজনায়
এখানে মানুষ আসে নি, এই চাঁদধোয়া কাছিমপিঠ বালুচরে জ্যোৎস্না এসেছে, অমাবস্যা এসেছে,
গর্ভ ফিরে পাওয়ার খঞ্জনী ও ক্রন্দন হাতে কোনো তৃষিত পথিক অথবা বক অথবা শ্রমণ অথবা নিছক নয়নতারা অন্ধলোচন ভিকিরি যেতে পারে সরোবরে, তমালছায়ায়, দীঘির দীঘল অনুরাগে
তাই রূপ কাঁদে সারারাত, নদীর ছায়ায়
ছায়া পড়ে, ষাঁড়াষাঁড়ির জলোচ্ছ্বাস হয় ধূসর নীলচৈতন্য ক্যানভাসে
মন হয়
প্রাণ ও চেতনা হয়, দেহ হতে হতে মাটিতে আকাশে পতঙ্গময় পচনে, রেচনে, নিষ্ক্রমণে
আলেয়া নির্গ্রন্থ
হংসধ্বনি ব্রহ্মের পিতামহ
নীলচে আকাশে কম তারা, কালচে আকাশে বেশী তারা
এরই মাঝে এলোচুল দ্যাখা, সমস্ত অস্পষ্ট আলো আলগোছ ছুঁয়ে
গ্রীবার ভঙ্গিতে অস্ত যায় নদী – এইখানে, রমণীয়া ক্রম
আনন্দ-আলিন্দে দুরুদুর মেঘমালা, পারিজাত ফুলের থালা,
সূর্যের জন্য কাঁদে রাধাপদ্ম
ভালোবাসার জন্য কাঁদে পশুপাখি, গাছপালা
অথবা মাথা নিচু করে অপেক্ষা কর, অপেক্ষাকেই ঢাল তরোয়াল বানিয়ে
মুক্তি-আলো-আজাদীর সমাগত পূত বনস্পতির কোলে হেলেদোলে সতেজ মাটির চারা
গাছ পোঁতো, হে মানুষ, কালময় খাল খোঁড়ো
কুমীরের সাথে কুস্তি হবে,
মস্তি হবে
গাত্রে হবে ব্যথা
সজাগ রবে মাথা। উপরে ঝুলবে কালীর খাঁড়া অথবা ড্যামোক্লসের তলোয়ার
তলোয়ার তুলে নাও শক্তকঠিন হাতে
যেমত বনস্পতি কচিকালে মাথে তোলে আদিগম্ভীর জলপ্রপাতে
নট তখনো কোন মুলুকে, নাট্য তখন কোথা?
ক্যোঁৎ পাড়িয়াই গিলিয়া লহ শিঙ্গিমাছের মাথা।
ভোট দিয়ে ফের তুলেই ফেলুন ভোটকম্বল-কাঁথা
বীরকুল ধায় ভ্যালহ্যাল্লায় রমণ-উল্লাসে
সুপুরি গাছের মাথার উপর সূর্য্য কেবল ডোবে
কেবল টিভির তার দিয়ে তারে রাখতে না’রি ধরে
গা ছমছম করে
আধকপালী ব্যথার ব্যামো মহব্যোমে বোঁবোঁ
পদ্যসাগর তীরেই হের রাজার রাজা র‍্যঁবো
ভয়ালদয়াল দানোর মত বীরপাহাড়ির ভালোভোল্লুক রোমশ ঘ্যাঁঘাসুর
মহুয়ায় মৌবনে বাউল মউল বাতাস
প্রতি অঙ্গ শীতল করে
আংটি খোলো। জল মোছো। দ্বৈপায়নের মেরুন সন্ধ্যালোক, করুণ সূর্য্যাস্ত
তারপর প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, এগোচ্ছে, এগোচ্ছে, গ্রহণে গ্রহণে গাছের ভিতর দাগ রেখে, সূর্য, চাঁদ, মহাব্যোম, বসুন্ধরাশীতল আর্দ্রতায়, ভালোভোল্লুক বেড়িয়ে এলো বন থেকে
জোছনায় ভালোভোল্লুক লুণ্ঠিছে, লুণ্ঠিছে
কিরণমালার রূপোরথালায় চাঁদের মালা গাঁথা
গাঁথো সুখে, বিরহে, গাঁথো হাসিমুখ ও শোকচ্ছায়া
বিমূঢ় তীব্র অনিবার্য। এখানে মাটির গভীরে কাটা হয় সুড়ঙ্গ, চুপিসারে।
প্রয়োজনে ন্যাংটো হয়ে যাওয়া হয়
অপ্রয়োজনে, প্রগলভ।
নক্ষত্রকালের ভিরকুটি-খাওয়া হিসেব থামছে
প্রেতস্বরে, অনাগত-স্বরে, আলোর জরিপে সময় বুনছে
মাথার ভিতর সাতকাহনের জটপাকানো কুম্ভীপাক
বাচনশিকড় কথায় গাঁথে না
নখের ময়লা মনের আঁচড় ঠোঁটের কোনে চুমুর মত থুতুর কাইলোসিস
ধুতির তলায় ছুঁচোর নাচন তলে তাহার খুচরো বিচি
চুলকে গেলেই গড়ানহাটায় রসচমচম ফুল্কোলুচি
ব্যথার শিকড় কথায় গাঁথে না
কথার মালায় চম্পাপারুল গাজীবাবাজীর নীল লণ্ঠন স্বপ্নচোখ
ব্যথার থালায় ভিক্ষা ফাটে রক্তজমাট মৃত্যুলোক
শোকের শিকড় অশোক গাছের ছা
হ্যাঁচড়প্যাঁচড় করছে ও কে? জলে ডোবে না!
করতালি দাও ক্রান্তিসারে কাতার ধর করঙ্গ!
খুলির ভিতর লক্ষ বুলেট পুড়েও ওড় পতঙ্গ!
টাইফুন! টাইফুন! টাইফুন আসছে বন্দরে
এসে গ্যাছে বাতিঘরে
সেইখান থেকে বেতার বেল্লিক বিলোল বার্তা এলো
হে কাণ্ডারী, কহ কথা, হে সমুদ্র, হে অরণ্য, হে পর্বতমালা, সূর্য-চন্দ্র-তারারাজি
ধুলো ওড়ে খুব, বিষাক্ত, লবণ-কাদা, ছিটকে ছিটকে মাছের চোখচাপা চাঙড়
মাছের চোখের উপর বসে পড়ে, অন্ধকার দলা ঢেকে দেয় আঁধারতর গবাক্ষ,
মৃতের চোখ দিয়ে ব্ল্যাকহোলে ঢুকে যাবে বালখিল্য ডেঁও পিঁপড়ে একদিন
তবুও, পাতালরেলের ভিড়ে একঝলক চুড়িরিণরিণ, আরো পাতাল আছে
ডাইনোসরের গলতে থাকা খুলির মতন দধীচি
প্রতি বস্তুতে অ্যাটমবোমা,
প্রতি বস্তিতে জীবনবীমার পোঁদ মারিয়ে
ছুঁলেই মরেছি! মরিচঝাঁপিতে ঝাঁপ দিয়াছে সিপিএমের বল্কল
সুহৃদমুখে মাল ফেলেছে তিনুমুলের খলখল
আগুনে ঘি ঢেলে বেদবিধি বিজেপি কলকাতা কালসীটে নীলপেরেক
একফালি ডানা লেগে থাকে সেইসকল ধারণ-যাপন বিবিধ-বিধিঅবিধিবিদ্ধ-প্রক্রিয়া-প্রকৌশলের ফলবসতঃ
অথচ সমস্ত শহর ডুবে যাবে অচিরেই, খুবলে নেবে মহামারীর বিষ।
ঘেরবন্দী গ্রাম নাই, স্নিগ্ধ খামার নাই, নির্বিষ ঢলোঢল নাই
শিকড়ের আশেপাশে জল নেই, কলজের আশেপাশে বাতাস নেই। হাঁ-টানে ফাটতে থাকছে বাড়িঘর ট্রামবাস অঙ্কক্লাস বন্ধুমুখ। অনেক কান্না ও রক্ত এখনো বাকি সমস্ত বর্ধমান জনপদে। গ্রাম নিবে যায় বর্ধমান বিষে। দীপ জ্বালো অগ্রজ আছো যদি কেহ।
দূরে দূরে জলপিপি ফুলকোপি গ্রাম, বুকভরা রমণীয়া মধু, বেয়ার বাদাড় ও লুকোনো জনপদ অসহায় শিখে ফেলেছে রক্তকান্নার কথা। নাগর নাগরী আজো কাঁদা বাকি বহু। কোথা সেদিন দালানকোঠা? কোথা গানের দোলা রাতপেয়ালা চতুর্দোলা চুতমারাণি প্যাঁচার চ্যাঁচন হুপহুপানি বেবাক বেবুন বাঁশঝাড়ে যাও ঢ্যেমনিরাণী, ঢ্যামনা আমি কোরবো ফলো
মিস হবে না সপাট যদি চাঁদের কিম্বা জীপের আলো।
সিংহের মামা তবু নরহরি দাস
মেঠোঘাটে সুখে ছেঁড়ে বসি’ বারোমাস।


এভাবেই ছায়ারা, বস্তিতে, কুস্তিতে, মস্তিতে
খুঁজে চলে মোকাম। রায়বাহাদুর গ্যাছেন বনে মনের কোণে বৃন্দাবন
এমনি রাগেই দক্ষিণ রায় চম্পা-পারুল পিষিয়ে নেয়
এমনি রাগেই রক্ত ঝরে বিল্বখ্যাপার চোখ থেকে
এমনি রাগেই টাইফুন! টাইফুন! খেতখামার দাউদাউ খাক
আকাশ থেকে হুঙ্কার বাজে সাবধান! সাবধান! ভোরের আলোয় সাইরেন বাজে হিমঠাণ্ডা কিছু বন্দীশালায় পৃথিবীর কোথাও কোথাও। সাবধান! ডাইনোসর ফিরিয়া আসিতেছে।
ডাইনোসরের যুগ ফিরিয়া আসিতেছে
ডাইনোসর ফিরিয়া আসে যুগে যুগে
গাছপালা তেমনি শান্ত থেকে যায়, জাইলেম-ফ্লোয়েমময় শীতল সতেজ প্রাণপ্রবাহ, কাঁদতে কাঁদতে মেঘের দিকে ছড়িয়ে ওঠে অসমোসিস – বীতশোক, অশ্রুময় তথাপি, গ্রহণে গ্রহণ-মেপে প্রকাণ্ড কাণ্ডের ক্রস সেকশানের গোলগোল জরিপমাপ। বেজী, কাঠবিড়ালি ও কতিপয় প্রজাতির টিকটিকি ও গিরগিটী ভালোমত উড়তে শিখবে। বন্ধু বলেছে। কাল সারাদিন সারারাত চুরুটের ঘ্রাণ, বুটিদানা মাথা তোলে মনুমেণ্ট হয়ে, প্রিয়তমা কল্লোলিনী নিম্ফোনগরীর ভাঁজভাঁজ ঈষৎ পৃথুলা রাত্রে খঞ্জনা তুলে নেয় রমণেচ্ছু বীর ভলাপচুয়ার!  
সারারাত ভিক্ষা তার,
অন্ধ বৈষ্ণবী গান হয়ে ভাসবে রাতভর – কুয়াশা ও গাছের পাতা মেটাবে তাহার কুজ্ঝটিকা-মাতোয়ালি তৃষ্ণা চাতক ও ঘাতকে - যেমত বুটের খিলাফ মস্তক তুলিয়াছিল কিছু ধানের শীষ একদা ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণে, যখন ভোরের কুয়াশা কুসুমের মতো কেটেছিলো মসৃণ ফালাফালা ছুরিতে বাঙলার সূর্যকর। আরেক কাজি সেই সব শীষেদের নাম রেখেছিলো আমন।
ওদের মাছ ধরতে দেওয়া হয় নি বলে খাল কেটে কুমীর এসেছিলো একদা প্রকাণ্ড
ইয়াব্বরো তার মাথা, হলুদ বাঁকানো দাঁত, কি আশ্চর্য্য – তার পেটের ভিতর বাস্তবিক বটবৃক্ষ – প্রাচীন, তাহার নীচে বঙ্কিমচন্দ্র গুরুচণ্ডালি কিস্তিমাত মাতরম বন্দে
ভাগ্যিস সুন্দরবন সংক্রান্ত একটি সংবাদ, যার প্রভাব অদ্যবধি কলিকাতার সুপ্রাচীণ ও সুপ্রসিদ্ধ বাস্তব জাদুঘরে বিদ্যমান, ত্রৈলোক্যনাথ পড়ে ফেলেছিলেন। হে উনবিংশ শতাব্দীর শেষপাদে কুমীরে খাওয়া হতভাগ্য নারী, তোমার দিদার বিবাহ হয়েছিলো যবে তবেকার সলিড সোনার কালে কালচিটে বালার দিকে আজকের দাদু চায় নাতি চায় বাপি চানাচুড়। সওয়া-এক শতকের এদিক ওদিকে সোনার দাম তেলের দাম খিদের দাম টাকার দাম সবের হিসেব এদিক ওদিক। হে সলিড সোনার চুড়ি, তোমাকে ঝেড়ে দেওয়া নোবেল ঝাড়ার মতই সুসাধ্য এবং অধিকতর লাভবান। আমার পরম প্রিয় বাপী চানাচুড়।
বনবিবি, ছড়ে গ্যাছে পা
গ্যাংগ্রীণ ইস্তক ইস্তফা দিয়েছে মৌলি বিশ্বকর্মা
ব্রহ্মাণ্ডকে গিলে রাখে ভোগী
ব্রহ্মাণ্ডকে বমি করে রোগী
ব্রহ্মাণ্ডতে মিশিতে চলে যোগী
কলিকাতায় সেইকালে জগদীশি আজুবা ক্লোনকলোনির ফোঁকড় ধরে উড়ছে ঝুলছে কয়েকশত আলোকার্ত বাদুর। রাত্রে উড়িবে উহারা সকল শান্ত হলে। কোটরে, কাণ্ডে, মাটিতে পোকামাকড়েরা দুধ খাবে বসুন্ধরার স্তন্যপায়ী জীব না হওয়া সত্ত্বেও
অতঃপর উহারা উড়িয়া যাইবে হলদেটে হ্যালোজেন ঘেঁষে
জোনাকিরা উহাদের দিবে ওয়ার্নিং সিগনাল
উহারা শুনিবে না
ঝিঁঝিঁপোকা উহাদের করিবে সশব্দ নিষেধ
তথাপি উড্ডীন পতঙ্গকূল শরহদ পার, ওই হলুদ নদী পেরোলেই সবুজ বন
অনন্ত বসুন্ধরা, সুগোল স্তন, শেষহীন দুধ
বিবর্তনতত্ত্ব জানায়, সকল স্তন্যপেয়ী প্রাণির রয়েছে কুকুরের বাঁকা দাঁত
রীমাস ও রোম্যুলাস যেরকম পেয়েছিলো বনপাহাড়ী নেকড়েনদীর মাতৃদুধ
মাতৃদুধ শিশুকে সুগঠিত করে পাখিসব রব করে পোহাইছে রাতি
ফাটলে ফাটলে বিষ, ফাটছে অস্থিসার আগুণ আহুতি
হাড়হাভাতি,
দেহেতী হাটবারে চোড়ুইভাতি
মস্তিসার ক্ষীণকটি, পীনপয়োধী, সুনিতম্বিনী হস্তিনী অথবা পদ্মিনী অথবা শঙ্খিনী
আহুতি সে সমস্ত, আহুতি কীটপতঙ্গ, ঝটিংটিং পাখী, পক্ষিরাজ, কালোমাস্টার ও সিংহকুকুর, মজার লালনীল ঘুড়ি ও মার্বেল ইত্যাদির পলিটিকালি সেফ গুলি, সব ডুবে গেলে
চাঁদ ডুবে গেলে
ফুঁকড়ায় কার বাঁশী দূরমাঠে? খামার আছে, গোলা নাই। কোনো গোলাই অদ্য পলিটিকালি সেফ নহে। অতএব, নাই। ডুকরায় কার বাঁশি ফাটলে রূপাই-সাজু কেস গণ্ডাখানেক যদিও মোস্টলি যৌথ গলায়দড়ি বা যৌথ বেগুনে কীটনাশক, গুণ গেছে দূর বনে ঘোর অভিমানে
রূপ কাঁদে তমালছায়ায়
ছায়া পড়ে জলে
কেঁপে ওঠে ইন্দিবর-কোকনদ
পুচ্ছে পালকহীন সবুজ ও বর্ণহীন
যথাক্রমে ঘাস এবং গঙ্গাফড়িং
হোমাপাখির ঠ্যাং গজাবে কবে?
দেবরাজ ইন্দ্র তখন আসনে, ডানা কাটা হয়ে গ্যাছে অজানা উড়ুক্কু পর্বতমালাকে, সাদা ঘোড়া উড়ছে ঈশানকোণে। সামনে তখন ল্যাঙটা নাচ্ছে বেহুলা, স্তন থেকে ভেজা শাড়ি সরে গয়ে বেস্টসেলার সম্বৎসর পুজোবার্ষিক। বাঙলার ভাঁট মাঠ নাট ঘাট এট সেটেরা ছিন্ন খঞ্জনার মতো পিষে গিয়েছিলো দেবরাজের ঠাঁটানো বাঁড়ার তলে সেইদিন, গাঙুড় তথা আদিগঙ্গা তথা টলিনালার জলে সিঞ্চিত বক্ষোদেশের কাপড়, মন্দাকিনী-মোমেণ্ট, পাপিও কি পাপ ধোতে ধোতে, বুকভরা মধুময় বাঙলার হাউসওয়াইফ আণ্টির জন্য ভাঁটফুল ঘুঙুরের নদীমাপ, শীৎকার – রাতভর কান চেপে শুনিতেছে বাঁশদ্রোণির চালের আড়ৎ, ভোলাহাট থেকে কোলাঘাটের দিকে গুটি গুটি বাগী লাউসেনের ডেরার দিকে পা বাড়াচ্ছে রাজার ভাড়াটে বাউণ্টিহাণ্টার্স। ব্লিজার্ডে ক্রমশ বিলীন হতে থাকে নীলছায়া অতীশ দীপঙ্করের রূপ ও অরূপ। এরকম ঘটে চলে হেমন্তগোধূলির বেড়া টপকে তেপান্তরে। তারা ফুটে ওঠে, নিভে যায়, অনলস। ফুলে ফুলে অলি বসে, গাছ বেড়ে চলে, শিকড়ে, পরাগে, দৃপ্ত বীচিতে। তারা খসে পড়ে, স্বভাব-অভাব-নিঃস্বভাব ত্রিগুণাতীত নঞচেতনায় স্থিত হয় বোধিসত্ত্ব কম্পাস, হাওয়াতে ঐ নিরঞ্জন, ওড়ো আবির, রেণু, রক্তজবা – রক্ত খাবার মান করে।
তীব্র অভিমান করে
রূপসাগরে স্নান করে তার রাঙলো খোঁপার জল
অস্তরাগের পিছু নিয়েছে বনচাঁড়ালের দল
ম্যাজিক পাহাড়ে ওয়েট করছে ভয়নেকড়ের ঢল
বেসিকালি, জলকে চল
পেপারওয়েট ডেমোক্রেসির সমস্যাগুলি ভিন্নতর
অন্তর্ধানের সময় তার পরনে ছিলো লালগোলাপ
গড়ন ছিলো মেঘপ্যাটার্নী
চক্ষে ছিলো ঘোলাটে দূরগামী কুয়াসা, ক্লান্ত বাস,
তিনটুকরো বিষন্ন লালবাতাসা। পরিযায়ী হাওয়া নাগাড়ে ঘূর্ণিধুলো তোলে নানাবিধ ধ্বংসস্তূপ, ফাটলে ফোঁকড়ে বসে কথকতা শোনে বিস্মিত মানব, আরশোলা ও ইঁদুর। মোকশ্মশানে শিয়াল আর শকুনের মহাফিস্টি, কবরে কাঁদছে আনারকলি, ড্রেসিং টেবিলে মাথা এলিএ সত্যবান আউট, সাবিত্রী ফ্যাঁচফ্যাঁচ করছে মহার্ঘ আতরে আর্ত সুগন্ধি রঙিন রুমালে নাক ঝেড়ে। মর্তুকাম মানবসম্প্রদায় তুলে নিল পিস্তল
মাথায় গাঁথা মোমের আলোয় মোমের পুতুল, মোমের মমি, মেমের মামি
মাথায় গাঁথা বুলেটসহ অথৈ জলে উদ্বাহু ভালোবাসা
খুন হয় যায় আলো
খুন হয়ে যায় নদী ও অন্ধকার
মিছিল হবে ফিরৎ চাওয়া বিমূর্ত স্তনের মূর্ত প্রাণধারা –
স্তনবৃন্তে বসে যায় কুকুরের এভল্যুশানারি শ্বদন্ত
ঢেউয়ে ঢেউয়ে দীপমালা, সুজাতা আসছে এব্যালা পরমান্ন হাতে, ওব্যালা প্রদীপ হাতে
শালা বোধ না এলে যায় কোথায়, শঙ্খমালা মেঘে মেঘে কোজাগর
সমস্ত দায়ভারে, দায়ভাগে, তিনলাথ মেরে বিদ্রোহী কালাপাহাড়, বুনো,
সেও স্তিমিত হয় হ্যানো দরদরসে, দয়াধন্য তার দয়াধাম,
সীমিত পরিসর মেনে চলেছে নির্বিকার শামুক, দিলদরিয়ার দরাজ বুকের আলো-আঁধার মিলছে যেথায়, ঈষৎ ত্যাড়চা তার উর্ধ্বপানে মুণ্ড
ঈষৎ হাস্য তার ঐতিহাসিক ফোটোফ্রীজ বদনে
চতুর্দোলার ধার ধারে না এমন সচল জীব
এমনিধারাও হচ্ছে বুঝেই বসন্তে কানন হয় কুসুমোদ্গ্রীব।
নদী বহে বেগে।     

No comments: