সমুদ্রমন্থনে চলো নি, বিকার, অভিরাম,
পঞ্চরত্ন হস্তপদে সঞ্চারিত, পুনঃপ্রকৌশল
যাও ছেড়ে, অকাতর অরণ্য ও নঞতৎপুরুষ -
যাও ছেড়ে হাতের লোম ও বুকের মাংস,
যে বলাকা উড্ডীন ও বিস্তীর্ণ তাকে তুলে আনো
সযত্নে সাজাও দুখহর বাগিচা-নিরালায়,
অথচ ভালোবাসা প্রয়োজন, যাকে হারাও
ঝর্ণাঅতলে সাড়ম্বর আয়োজনে,
তাকে ডাকো নানাবিধ অভিধায়;
যে গ্যাছে আনমনে পিয়ালের বনে -
হাতে গেঁথে যায় বেআবরু আলপিন, চোরকাঁটা
তপ্ত শলাকা গাঁথো, সরোষে, খুলির আত্মস্থে
সাতরঙে রাঙা তার ড্রপসীন,
সাতসুরে বাঁধা তার পিয়ানো
তারও ডাকচিঠি আসে, নাম রাখে কোমল-গান্ধার
গান্ধর্বী গ্যাছে তবু বহুদূর, বুকে হেঁটে শতপথ
ধায় ভালোদানো, চন্দনবনে তাই শিহরণ
জরায়ুর পিচ্ছিল পথ-রথবাহী তাই - বোধিপাঠমঠ,
ভ্রুণের চিহ্ন মেপে মেপে বাঁশীঅলা খুঁজে ফেরে পিতলের এক হ্যামলিন
চোখের ভিতরে চোখ, হননের প্রাকব্রাহ্মে বিদ্যুৎফলা।
এই লাগে ভালো, টেবিলে সুস্বাদু ফল ও ব্যালাড দেখে
উড়ে আসে নীলমাছি - শরীরের বহুকায় ত্যাজি;
এই লাগে ভালো, ঠাণ্ডা মাথায় খুন,
গলায় বসে যায় শিরার ফলক,
চলকে ঠিকরে ওঠে মণিকোঠাময় একপ্রেত,
কুলুঙ্গিঘন গর্ভধান, তথা মেঘে মেঘে আঁশটে অভিলাষ,
ফেটে ওঠে গহন তিরন্দাজ, তার নির্মোক শৃঙ্গারে রিমিঝিম
পিতৃহন্তা সে - বিরাট ও অপ্রমেয়, ক্রোনাস, বভ্রুবাহন
ঠোঁট পেতে দি' তার-ই বিষন্ন হলুদ শহরে,
লেন্সের অগোচরে।
No comments:
Post a Comment