প্রেম,
কামনা, বিচ্ছেদ, বিরহ ও বিবাহ-বিষঅএওক একটি ক্ষুদ্রো পালা ও উহার মঞ্চবর্ণন
চোরিত্রোগণ
বেচু,
চয়ন, মাম্পি, আঁতেল মাতাল, গোম্ভীরমূখো, জোকার-মুখোশ-পোরিহিতো অব্যক্তোপোরিচএ
ব্যক্তি, স্পাইক/মোহক শমোন্বিতো বোষ্টুম।
প্রথম
দ্রিশশো:
পুষ্পলতা ময় স্টেজ, কিছু টবে
শোভিতো উজ্জ্বল্বর্ণা কোমল পুষ্প
ঝলমলে আলোকিতো মঞ্চে পুলকিতো অ্যাক
ষুঠাম ঋজু ব্যাক্তি, অথচ কিমশ্চর্য্য! কোমল রোমহীন তাঁর অঙ্গো তোনু ও ত্বক,
মস্তোকে উজ্জ্বলতাময় রাংতার কিরীট, বাহুতে উজ্জ্বলতাময় রাংতার বাজুবন্ধা, চক্ষে
কাজল, কিঞ্চিৎ উদয়শঙ্করী ভাব যোদিও ভাঁজগুলি অনুপস্থিত। ব্যাকগ্রাউণ্ডে জলতরঙ্গের
সফট শুমিষ্ট ও মৃদুশ্বরে, কিছু বা দ্রুতোলয়ে জলতরঙ্গের আঁচ। আঁচ ক্রমে নিগূঢ় ঘটে,
বর্তমানে দেখি, শুরু হএ ষে ব্যাক্তির কণ্ঠে গীত ও উহার এক্সপ্রেশন কিছু বা হযবরলর
ন্যাড়ার মাতো:
“না না না না না
অমোনটি ভেবো না
অমোনটি ভেবো না
বোন্ধু রে ও বোন্ধু ওইশশালা গো
অমোন্টি ভেএএবো না
বোন্ধু রে অমোন্টী ভেবো না
যে তুমি না দিলে
ওগো
তুমি না দিলে ওগো আমিও দেএবো নাআআ।”
না এর শেষ আআ টান্টি ঘ্যাঁচ কোরে থেমে যাএ ও উক্তো ব্যাক্তি হঠাৎ স্ট্যাচুবত স্থিত হন। জলতরোঙ্গের আঁচ ও উক্তো ঘ্যাঁচে স্তব্ধ হএ।
অপোর ব্যাক্তির প্রোবেশ। শুবোধ
গোপালের ন্যাএ দেখতে, হাল্কা শোরু গোঁফের আভাষ, তেল চুকচুকে ও চুপচুপে চুল, শোরু
মেটাল্রিমের চশমা, পরোণে কলারোয়ালা গেঞ্জি ও একটু ঢলঢলে জিন্স যাহা ব্যাগি বা তার
শমগোত্রীও নহে। উহার “ভালো ছেলে টাইপ” এক্সপ্রেশনে আবৃত্তি:
“শেই
জে ছিলো গো, নলিনী
তার কথা কি বোলি নি?
মাখছিলো খুব ভলিনি”
তার কথা কি বোলি নি?
মাখছিলো খুব ভলিনি”
এই আবৃত্তিও ঘ্যাঁচ কোরে থেমে যাএ
আর তৎক্ষণাৎ ভারী জোরালো অথচ নির্লিপ্ত কর্কষ্কণ্ঠে নেপথ্যে ঘোষিত হএ:
“চলোচ্চিত্রের
বাকি অংশোটি নির্ণএ কোর্বেন শ্বর্গতঃ সৃজুক্তো ফেদেরীকো ফেলীনি।”
হঠাৎ (ঘ্যাঁচ) করে স্টেজ অন্ধকার ও মিষ্টি রঙের
কার্টেণ (মিষ্টি রঙ সাব্জেক্ট ট্যু অ্যাভ্যেলেবিলিটি)
প্রথম দৃশশো খতম
দ্বিতীও দ্রিশশো
মোম্বাতির আলোয়াঁধারি মঞ্চ, দুই
কোনে দুই মোম্বাতি: এক্টির পিছনে বষেছেন জনৈক আঁতেল মাতাল, হাঞ্চড, হেড
ড্রুপিং, শোল্ডার্স বেণ্ট, অ্যাক পায়ের চটি পায়ে, অপর্পায়ের চটি স্টেজের সেণটারে
একটি এনলার্জড ওপ ফ্রেমড জর্জ অরএলের ছোবির শোমুখে;
অপর মোম্বাতির পিছে গম্ভীরমুখো
ব্যাক্তি একটু গাব্লুগুব্লু তোনু, খালি গাএ কণ্ঠে পৈতা, নিম্নাঙ্গে ময়লা কার্গো,
পায়ে মোজা।
উভএর ছায়া পড়েছে বৃহৎ হোএ চোতুর্থ
দেওয়ালে।
বাক্যালাপ
আঁতেল মাতাল: মাইরি
এই যাপনে কি যন্ত্রনা, বোন্ধু রেএএ
গম্ভীরমুখো: ষে কথা
তুই জানলি কবে ওরে আমার নোন্দু রে
আঁতেল মাতাল: জেনেছি
গোভীর বোধে
গম্ভীরমুখো: ক্যানো
খামোকা লাগিশ পোঁদে?
(“পোঁদে” উচ্চ্বারণকালে নেপত্থে মিহি তীক্ষ্ণ হাই পিচড বীপ, যদিও অ্যামনতরো ভল্যুম
উচ্চ্বারণশ্বর ঢাকিবার নহে)
আঁতেল মাতাল: জানি
তুই বুঝবি না
গম্ভীরমুখো: তা বলে
বাঁড়া (পুণরায় নেপত্থে মিহি তীক্ষ্ণ
বীপ, যদিও তা পুণর্বৎ উচ্চ্বারণশ্বর ঢাকিবার নহে) ধান্ধা খুঁজবি না?
আঁতেল মাতাল: এরোম
ভাবে বোলিশ না
গম্ভীরমুখো (খেঁকিয়ে উঠে): তাহোলে
কিভাবে বোল্বো? সালা চামার্চোদা চামচিকে! (পুণরায় নেপত্থে
মিহি তীক্ষ্ণ বীপ, যদিও তা পুণর্বৎ উচ্চ্বারণশ্বর ঢাকিবার নহে)
আঁতেল মাতাল: কিছু
বলা কি একান্তৈ প্রোয়োজন?
গম্ভীরমুখো: তাহোলে
ল্যাওড়া ((পুণরায় নেপত্থে মিহি তীক্ষ্ণ
বীপ, যদিও তা পুণর্বৎ উচ্চ্বারণশ্বর ঢাকিবার নহে) কিষের অ্যাতো থ্যাটারের
আয়োজোন?
আঁতেল মাতাল: অল দ্যা
অয়ার্ল্ড’স অ্যা স্টেজ অ্যাণ্ড অল দ্যা মেন
গম্ভীরমুখো: (ইণ্টারাপ্ট
কোরে ও রেগে গিয়ে তড়পানি) ইংলিs ঝার্বি না বাঞ্চোদ
(পুণরায়নেপত্থে মিহি তীক্ষ্ণ বীপ, যদিও তা পুণর্বৎ উচ্চ্বারণশ্বর ঢাকিবার নহে) খবর্দার!
আঁতেল মাতাল: তুই
চিরোকাল নীরষ রোএ গেলি রে...
গম্ভীরমুখো (প্রচণ্ড অ্যানিমেটেড
হোএ): কিsএর রs মারাচ্চিস রে বাণ্টু? তোর মত উদো চুদখানকির ডিম বেদো
খানকির গুদপোঁদ্মারাণো গাম্বাটচোদাদের না, আমি উলটো করে অ্যাক্সো আটবার (নিতম্বভাঁজে কঠিন কিছু প্রেরণ করিবার শঙ্কেত্মূলক
মুষ্টিহস্তশঞ্চালন) (খিস্তিশমূহো উচ্চ্বারণকালে পুণঃ পুণঃ পত্থে মিহি তীক্ষ্ণ বীপ,
যদিও তা কোনোবারি উচ্চ্বারণশ্বর ঢাকিবার নহে) (গম্ভীরমুখো শেষ ডাএলগটি অরম্ভ করা
থেকে কার্টেণ নামা আরম্ভ ও বাই দ্য টাইম হী ফিনিশেস, কার্টেণ উহাকে ঢাকিয়া
গিয়েছে।)
দ্বিতীও দ্রিশশো খতম
তৃতীও দৃশশো
ঝলম্লে কিছু উলঙ্গো ও অর্ধোউলঙ্গো
পর্ণানুগ পোস্টারে শোভিতো স্টেজ, স্টেজে গাঢ় ও কড়া লাল অথচ উজ্জ্বল নহে অ্যামোন
আলো, বাঙ্গালা আইটেম নাম্বারের নর্তোকীর শাজশোজ্জার ষস্তা ওনুকৃতো পোষাকে নর্তোকীর
আগমন ও আইটেম-নাচ আরম্ভ। এই নাচে কোরিওগ্রাফী নিষ্প্রোয়োজন। স্টক যে কটি পোস, নড়ণ,
ঝটকা ও ঝটিকামএ হস্ত-পদ-কঙ্খ-বাহু-কটিদেশ-স্তন-নিতম্ব গাইরেশান, বাঁক ও ভাঁজ
রহিয়াছে শেগুলির ওতিঅনিপুণ্রূপে ওনুকরোণই জথেষ্টো।
নেপথ্যে পূর্বোরেকর্ডিতো উচ্চলয়ে
উচ্চাওয়াজে শঙ্গীত ও খাপছাড়া সিন্থেসাইসার প্রোয়োগ। নাচ আরম্ভ, গান আরম্ভ,
তিঞ্চার্টে বিভন্ন রঙের মানানষৈ, অত্যুজ্জ্বল নহে অ্যামোন, স্পটলাইট বেখাপ্পা ভাবে অথচ তাড়াতাড়ি ঘুড়ছে :
ফেচুবুকে খুব ভালো বেশেছিনু বেচুকে
টুকটুকে দিল দুখে গ্যালো যে রে শে চুকে
টুকটুকে দিল দুখে গ্যালো যে রে শে চুকে
হা রে হাএ বেচু তুম কাঁহা গ্যাএ ময়না
আঁসুতে জে ভরে গ্যালো মোর দুই নয়না
তোরে অ্যাতো ঢূঁডে ঢূঁডে থকে গেছি হাএ রে
আমাকে তো কাগে চিলে ছিঁড়ে খূঁড়ে খাএ রে
বোমা বোমা বোমা[1] ঐ
ফাটে এই দুইবুকে
হাএ মোর দিলরূবা তুই গেলি কোন মূলূকে
জানেমন জানেমন তুঝে ঢূঁডি ষবেতে
তনমন আগ জ্বালে কৈ
না পারে তা নিভাতে
বেচুকে হারিএ আজ হোএছি রে পিয়াসী
যে ভ্রমরা হানি মাঙ্গে তারে গিএ দি’আsi
তুমি zoদি অলি হও খায়্যা zaও আমারে
ফুলের মোধূর suখ দিবো আমি তোমারে
ফেচুবুকে খুব ভালো বেশেছিনু বেচুকে
টুকটুকে দিল দুখে গ্যালো যে রে শে চুকে
টুকটুকে দিল দুখে গ্যালো যে রে শে চুকে
হা রে হাএ বেচু তুম কাঁহা গ্যাএ ময়না
আঁসুতে জে ভরে গ্যালো মোর দুই নয়না
তোরে অ্যাতো ঢূঁডে ঢূঁডে থকে গেছি হাএ রে
আমাকে তো কাগে চিলে ছিঁড়ে খূঁড়ে খাএ রে
বোমা বোমা বোমা[2] ঐ
ফাটে এই দুইবুকে
হাএ মোর দিলরূবা তুই গেলি কোন মূলূকে
জানেমন জানেমন তুঝে ঢূঁডি ষবেতে
তনমন আগ জ্বালে কৈ
না পারে তা নিভাতে
বেচুকে হারিএ আজ হোএছি রে পিয়াসী
যে ভ্রমরা হানি মাঙ্গে তারে গিএ দি’আsi
তুমি zoদি অলি হও খায়্যা zaও আমারে
ফুলের মোধূর suখ দিবো আমি তোমারে
তুমি zoদি অলি হও খায়্যা zaও আমারে
ফুলের মোধূর suখ দিবো আমি তোমারে
তুমি zoদি অলি হও খায়্যা zaও আমারে
ফুলের মোধূর suখ দিবো আমি তোমারে
শেষ দুই কলি অন্তিমে তিনবার,
স্তিমিত হতে স্তিমিততরো প্রোতিবার, নর্তোকী ক্লান্তো হোএ ওঠে ও ক্রমে তার
অঙ্গষঞ্চালন শিথিল, স্লথ, ও বেখাপ্পা-বেরীদ্ম হোএ ওঠে; তিঞ্চার্টে বিভিন্নো রঙের
স্পটলাইটগুলোর ম্যুভমেণ্টো ক্রমে শিথিল; অথচ সিন্থ ষমানে বেজে চলেচে আণ্টিল দ্য সং
এণ্ডস ষঙ্গীতান্তে স্পটলাইটগুলো সেণ্টারে দণ্ডায়মাণা নর্তোকীর উপর, প্রচূর প্রী
রেকর্ডেড wolf whistles, নর্তোকীর দর্শোকবৃন্দকে কুর্ণিশ। কার্টেন।
তৃতীও দৃশশো খতম
চোতুর্থো দৃশশো
চোতুর্থো দেওয়াল জুড়ে প্রজেক্টেড
স্ক্রীণময় টেলিভীষন-লোডষেডিংঝির্ঝিরে ও আনুষঙ্গিক ঝির্ঝির আওয়াজ যা প্রথমে শজোরে
আরম্ভ ও ক্রমে মৃদু, (অথোবা লাল নীল শমান্তরাল “ওনুষ্ঠান-প্রচারে-বিঘ্ন”
স্ট্রাইপ্স ও আনুষঙ্গীক তীক্ষ্ণ চূড়ান্ত পিচে শব্দ যা প্রথমে শজোরে আরম্ভ ও ক্রমে
মৃদু) ও প্রথমে মৃদু ও ক্রমে জোরালো প্রী রেকর্ডেড নানান টুক্রো টাক্রা যান্ত্রিক
কণ্ঠষ্বর ইংরেজি ও বাংলা বিভিন্ন ওয়ার্ডস ফ্রেসেস ক্লসেস, ক্রমে এই আওয়াজ ঝির্ঝির
(বা হাই পিচড) আওয়াজটি ছাপিয়ে যাএ, দেওয়ালের লোডষেডীঙঝির্ঝির (বা রঙিন স্ট্রাইপ্স)
ক্রমে ফেড আউট করে ও উহাএ সুপাঋম্পোসড হএ ফেসবুকের একটি দেওয়াল যার মাল্কিন “Dolly Sweetgal Mampi” যার
প্রোফাইল পিকচারে জনৈকা অ্যানিমকন্যা ও কভার্পিকচারে বেঢপ মিষ্ট টেডি।
ওয়ালে একটি ডেটে লেখা রোএছে
“Dolly Sweetgal Mampi got
married to Charan Dey (চয়ন কর)”। চয়ন
করের প্রোফাইল পিক দেখে বোঝা জাএ যে শে আশোলে প্রোথোম দৃষ্যের যে “সেই যে ছিলো গো
নলিনী” গেয়েছিলো ষে। আপডেটের নীচে ৩১ টি লাইক ও ১২ টি কমেণ্ট।
তার ঠিক নীচে উক্তো বিবাহোতারিখের
দুই বছোর আগের ডেটের আপডেট
“Dolly Sweetgal Mampi got
separated from Cooldude Bechu Rockzz”
তাতে ৪ টি লাইক ও ৭ টি কমেণ্ট. উক্তো Cooldude Bechu Rockzzএর ছবি দেখে মালুম হএ যে শে প্রোথোম দৃষ্যের ঈষৎ এফেমিনেট “না না
না না না অমোনটি ভেবো না...”র গায়ক।
তারো দেড় বছোর আগের ডেটের আপডেট
“Dolly Sweetgal Mampi is in a relationship with Cooldude
Bechu Rockzz”
তাতে ৪২ টি লাইক ও ৭১ টি কমেণ্ট
যার অর্ধেক Dollyকৃতো “thanks!”
হঠাৎ ওন্নো আওয়াজ বন্ধ ও নেপথ্যে
উলুদ্ধোনি ও বিয়ের পোষাকে বেচু ও মাম্পির আবির্ভাব, বেচুর চোখেমুখে স্তিমিতো ও
প্রশান্ত উতফুল্লোতা, শোরু গোঁফ, মাম্পির মুখে হাশি ও চোখে বিরোক্তি। মাম্পি আশোলে
ত্রিতিওদৃশ্যের আইটেমনর্তকি, অ্যাখোন বিএর শাজে। চোতুর্থো দেওয়াল শাদা, স্টেজে
উজ্জ্বল আলো।
ওরা সেণ্টার্স্টেজে দাঁড়াএ,
উলুদ্ধোনি বন্ধো হএ। নেপথ্যে রাবীন্দ্রিক-আঁতেল আথচ শম্পুর্ণ ইমোশানবিহীন ও
ভাব্লেশহীন কণ্ঠে প্রীরেকর্ডেড ন্যারেশান –
“আজ মাম্পি ও চয়নের
বিবাহ। চয়ন বড়ো ইঞ্জিনিয়ার। জয়েণ্ট
এণ্ট্রান্সে ৩৫৭৮ র্যাঙ্ক পেয়েছিলো ও। চয়ন ভালো ছেলে। ভার্জিন। নেশা নেই কোনো,
শুধু কলেজে অ্যাকবার কিছু বোখে যাওয়া বোন্ধুদের পাল্লায় পোরে একটু বিয়ার টেস্ট
কোরে দেখেছিলো ক্যামোন টেস্ট তা বোঝার জোন্নো, তেতো লাগাএ থুঃ থুঃ কোরে ফেলে দ্যাএ
ও আর কোনদিন মদ ছোঁএ নি। সিগারেটো ওরকোমই অ্যাকবার তাও অ্যাক্টা টান দিএ অ্যাতো
কেশেছিলো যে আর কোনদিন টানে নি। এই দুই ঘটোনা নিএই তার ওনুশোচোনা হোএছিলো প্রোচূর।
অ্যাখোন শে কোল্কাতাএ ভালো প্রাইভেট ফার্মে চাক্রী করে। পোরিবারের মুখ তাই
ঊজ্জ্বল।
মাম্পি ভার্জিন নএ।
শে কলেজে সেকেণ্ড ইয়ারে পাড়াতুতো সিনিয়র বেচুর প্রেমে পড়ে। বেচুর বাবার
হার্ডোওয়্যরের ব্যাবশা, ভালৈ চলে, কিন্তু বেচু বখা ছেলে। পাড়াএ তাকে সিগারেট খেতে
দ্যাখা গ্যাছে। ওরা প্রায়শঃ সিনেমা দেখতে যেতো ও লক্ষ করা যাএ যে ওরা প্রেক্ষাগৃহের
পিছনের এবং কোনার দিকের টিকিট কাটতে পছন্দ করে। মাম্পির বাবা-মা-দিদা একদা কিছু
কারোণে বাড়ি ছিলেন না এমাতবস্থাএ বেচু তার বাড়ি আশে ও তারা শঙ্গমে মিলিত হএ। দুজনে
নানা কলায় দুজনকে পরিতৃপ্ত করে। কিন্তু কিছুদিন পড় মাম্পির বাড়িতে তাদের প্রেমের
কথা জানতে পারেন যদিও তাদের মিলনের কথা জানতে পারেন কি না শে বিষয়ে আমরা অনিশ্চিত।
মাম্পির বাবা কন্যা কে কড়া নজর ও শাশোনে রাখেন ও বেচুর বাবা বেচুকে কলেজ ছাড়িএ
ডাক্তারি পর্তে ইউক্রেন পাঠিয়ে দ্যান। ওদের এর পর আর দ্যাখা হএ নি। ওদের বিচ্ছেদ
ঘটে এর ফলে এবং এরই ফলে শম্ভবতঃ মাম্পি হনার্স পাএ না।
মাম্পি, বেচু ও
চয়নের কাহিনী আজ এখানেই শমাপ্ত, এর পরে আমরা আপনাদের জন্য পরিবেশন কর্বো একটি
ফ্যাশান শো।”
ন্যারেশন বন্ধো হএ, ফ্যুর এলিসা
অ্যাকোয়াগার্ড মোনোটন আরম্ভ হএ। মাম্পি ও চয়ন স্টেজের মাঝেই দণ্ডাএওমান ও স্থির,
অ্যাকে অ্যাকে স্টেজে নির্বিকার র্যাম্পোয়াকের মুখে ও ঢঙে প্রবেশ করে বেচু, আঁতেল
মাতাল, গোম্ভীরমূখো, অ্যাকজন মুখে প্লাস্টিকের শস্তা জোকারের মুখোষ, পরণে
কোট-পাৎলুন-টাই-শ্যু ও গলাএ ঝুলানো দ্বিতীও দৃশ্যের জর্জ অরোএলের ছবি ও অ্যাক তিলক
ও কণ্ঠি শমোন্বিতো গেরুয়াধারী বোষ্টুম শুধু তার চুল স্পাইক/মোহক করা। প্রত্যেকের
গলাএ লম্বা করে মালার মতো ঝোলানো বিভিন্নো বাংলা চলচ্ছবির সিডি – জ্যামোন “বিয়ের
ফুল”, “প্রতিশোধ”, “গরীবের রাজা রবীনহুড”, “জামাই রাজা”, “বাবা কেন চাকর” “স্বামী
কেন আসামী”, “শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ”, “বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না”, “বস্তির মেয়ে রাধা”,
“MLA ফাটাকেষ্ট” ইত্যাদি। বেচু, আঁতেল মাতাল ও গোম্ভীরমূখো অ্যাকে অ্যাকে স্টেজের পিছন থেকে আষে,
এলিপ্টিকাল রেখাএ চয়ন-মাম্পি কে আড়াল করে দাঁড়াএ অ্যাক অ্যাক জন, দর্শকের দিকে
তাকাএ, এবং এলিপ্স ষম্পূর্নো করে ব্যাক্সটেজের অপর কোন দিএ প্রস্থান করে। শুধু উক্তো
স্পাইক/মোহক-চুলো বোষ্টুম এশে মৃদু মেয়েলি হেষে দাঁড়িএ থাকে, চয়ন ও ডলি যে উইং দিএ
ঢুকেছিলো ওন্নো উইং দিএ বেরোএ। ফ্যুর
এলিসা অ্যাকোয়াগার্ড মোনোটন বন্ধ হএ।
বোষ্টুম কবিতা আরম্ভ করে
“রষের সাগর বহি’ আমি রষিক নাগর
হেরি কাম্য কাঞ্চন, হেরি কামিনী ডাগর
নানা দ্বীপে উপকূলে হৈ উপনীত
হেরি নানা সুন্দর, হয়ে উঠি প্রীত
বহিয়াছি ঘোর ঝড়ে, ঘোর বরিষণে
ঘোর যুঝিয়াছি বহু মানোয়ার সনে
পথ রুধিয়াছে কত ভয়াল দানব
কাঠি করি’ গ্যাছে কত কুটিল মানব
হাটে ঘাটে কত ক্রীড়া, কি বা কলতান
কৌমচিতায় হ’এ সকলি সমান
আনিয়াছো, প্রভু, মোরে এ তটিনি তটে
আঁকিয়াছি ছবি কতো এ মহান পটে
কত ফুল কত পাখি কত সমাহার
কত দুখ কত জ্বালা কত হাহাকার
ব্যোম ফাটি কতো আলো পশে হৃদিমাঝে
অবিরাম শুনি অই দুখবীণা বাজে
শামাহস্তে করে কারা নিত্য চলাচল
অস্তাচলে শ্রান্ত ভানু, স্তিমিছে কোলাহল
পক্ষী ও নাবিক কিছু ফিরি আসে গেহে
চন্দ্র তারকা ভাসে যামিনীর দেহে
নিথর হৈবে ক্রমে এ সকল কম্প
অ্যাকে অ্যাকে নিভি যাএ সব টুনিলম্প
দুয়ার বাহির হতে কারা নিতি কড়া নাড়ে
কহে “মিশিবে সকল নদী অনন্ত পারাবারে
কইতে হৈবে কথা কিছু বৈতে হৈবে নাও
বৈঠাখান মিঞা তুমি জোরসে পাকড়াও”
থামি নাই, ডরি নাই, বহি গে’ছি ধীর
রষসিন্ধু সলিলে আমি সিন্ধবাদ বীর
ধরম করম সব রষদেবে সঁপি
রষদাস রহিলাম সুন্দরে জপি
যে সুন্দর মস্তিময় যে সুন্দরে সুখ
সে সুন্দরে মুই হোনু সদা উন্মুখ
আঁকড়ি ধরিতে যাহা সদা সুখকর
বন্দিতে করজোড়ে যা বা দুখহর
ঢালিতে চুম্বনধার কোমল বদনে
করিতে তৃপ্ত ঐ বিমল মদনে
হে সুন্দর অনিন্দ্যভোগ, হে ঈশ্বর
নতজানু হৈয়া আমি মাগি এই বর
জনমে জনমে জ্যানো (হ্যানো) রষদাস রহি
রষযোগী রষিক নাগর মস্তিকথা কহি।”
সেকেণ্ড পাঁচেকের সাএলেন্স,
বোষ্টুম স্থবীর দাঁড়িএ, ঠাএ শোজা চেয়ে, মুখে স্তিমিতো তদ্গত ঈষৎ হাশ্য। কার্টেন।
চোতুর্থো দৃশশো খতম
পালা খতম
বদহজম
(প্রয়োজনে ডাএলগগুলি-র ইঙ্গানুদিতো সাবটাইটলস
চোতুর্থো দেওয়ালের ডান ও বাঁ দিকের কিছু অংশো জুড়ে অ্যাপ্রোপ্রিএট ফণ্টসজ্জাএ
প্রজেক্ট করা জেতেই পারে)
No comments:
Post a Comment